লিয়োনেল মেসির কলকাতা সফর খুব একটা ভালো কাটল না। যুবভারতী স্টেডিয়ামে এদিন যা হল, তাতে বিশ্বের দরবারে মাথা হেঁট হয়ে গেল তিলোত্তমার।
মেসির আগমন উপলক্ষে হাজার হাজার দর্শকের সমাগম হয়েছিল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। সেখানেই তুমুল বিশৃঙ্খল সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভে ফেটে পড়েন দর্শকরা। পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়াল যে মাঝপথ থেকে ফিরে যেতে হল মুখ্যমন্ত্রীকে। এদিন মাঠে আসার কথা ছিল শাহরুখ খানেরও। কিন্তু তিনিও মাঠে আসেননি। ঘটনায় প্রকাশ্যে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও একাংশের মতে দর্শকের এমন বিক্ষোভ অমূলক নয়। কারণ মেসিকে এক ঝলক দেখার জন্য হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছিলেন দর্শকেরা। টিকিটের ন্যূনতম মূল্য ছিল ৪ হাজার টাকার বেশি। তারপর ক্রমশই ঊর্ধ্বমূখী ছিল টিকিটের টাম। কিন্তু এত দামের টিকিট কেটেও কেউ মেসিকে এক ঝলকও দেখতে পারেননি। দর্শকদের অনেকের মতে, তাঁদের সঙ্গে দুর্নীতি হয়েছে। টাকা ফেরতের দাবীও উঠেছে। অনেকের মেসির সফরের মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তের সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করেন সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের।
অভিযোগ, দর্শক টিকিট কেটে মেসিকে দেখতে পাননি। যুবভারতীতে মেসি ছিলেন ১৬ থেকে ১৮ মিনিট। কিছু ক্ষণ মাঠে থাকার পর তিনি বেরিয়ে যান। নির্ধারিত সময়সূচি অনুসারে তাঁর আরও কিছুক্ষণ মাঠে থাকার কথা ছিল। কিন্তু তেমনটা ঘটেনি। উপরন্তু তিনি যতটুকু সময় ছিলেন, তাঁকে সর্বক্ষণ ঘিরে ছিলেন কিছু রাজনৈতিক নেতা, মন্ত্রী, সাংবাদিক এবং নিরাপত্তারক্ষীরা। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মোহনবাগান কর্তা সৃঞ্জয় বসু, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়রা মেসির সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন, সেলফি তুলেছেন। কিন্তু যাঁরা হাজার হাজার টাকা দিয়ে শুধু মেসিকে দেখতেই যুবভারতী ছুটে গিয়েছিলেন, তাঁদের চোখে একবারের জন্যও পড়েননি মেসি। অনেকে কটাক্ষ করে বলেন, দর্শকদের টাকায় সেলেবরা ফুটেজ নিয়েছে। কেউ আবার অভিযোগ তোলেন, যাঁরা ফুটবলের ‘ফ’ বোঝে না, তাঁরা মেসির কাছে থাকল। আর যারা টাকা দিয়ে টিকিট কাটল, তারাই কিছু পেল না।

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন