কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক আশ্বাসের পরও কিছুতেই কমছে না আলুর দাম৷ ব্যবসায়ীদের দাবি মেনে ভিন্ রাজ্যে বাংলার আলু পাঠানোর ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য সরকার৷ কিন্তু ছাড়পত্র দেওয়ার অন্যতম শর্তই ছিল খুচরো বাজারে আলুর দাম অন্তত ৩০ টাকা কেজি বা তার কমে রাখতে হবে৷ কিন্তু কোথায় কী! আলু যেন এখন সোনা দরে বিকচ্ছে৷
গত মঙ্গলবার শর্তসাপেক্ষে রাজ্য সরকার আলু ব্যবসায়ীদের ভিন রাজ্যে আলু পাঠানোর বিষয়ে ছাড়পত্র দিয়েছে৷ সরকারি ছাড়পত্র পাওয়ার পরই বাংলার আলু বাইরে রাজ্যে পাঠানো কাজও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়ে গিয়েছে৷ কিন্তু কলকাতা ও শহরতলির বাজারে আলুর দামে কোনও নিয়ন্ত্রণ আসেনি এখনও৷ অধিকাংশ বাজারে আলু বিক্রি হয়েছে ৩৪ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে৷ অথচ আলুর পাইকারি দাম মাত্র ২৫ টাকা৷ পাইকারি বাজারে ২৫ টাকার আলু খুচরো বাজার পর্যন্ত আসতে হয়ে গেল ৩৪ থেকে ৪০ টাকা! কোন মন্ত্রে এটা সম্ভব? নজরদারি অভাব? নাকি নেপথ্যে ‘কাটমানি’ বা ‘তোলা’র প্রভাব?
নবান্ন থেকে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে আনার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন৷ ব্যবসায়ীদের নরম-গরম কথাও শুনিয়েছেন৷ কোন সবজির কত দাম হওয়া উচিত তার তালিকাও দিয়েছেন৷ কিন্তু বাস্তবে মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া সেই তালিকা দিনের আলো দেখেছে কি না, তা নিয়ে অনেকের মনেই ধোঁয়াশা থেকে গিয়েছে৷
ধোঁয়াশা থাকার যথেষ্ট কারণও আছে৷ কারণ, তথ্য বলছে, এই মুহূর্তে কৃষকরা এক কেজি জ্যোতি আলুর দাম পাচ্ছেন ১৮ টাকার কাছাকাছি৷ সেই একই আলু, পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়৷ আর খুচরো বাজারে সেটাই হয়ে যাচ্ছে ৩৪ থেকে ৪০ টাকা! প্রশ্ন উঠছে, পাইকারির সঙ্গে খুচরা দামে ১০ টাকার ফারাক থাকছে কেন?
গত মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রাজ্যের আলু ভিন রাজ্যে পাঠানোর বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সাময়িক অনুমতি দেওয়া হচ্ছে৷ তবে কলকাতা ও শহরতলিতে আলুর দাম ৩০ টাকার মধ্যে রাখতে হবে৷ বাস্তবে দেখা গিয়েছে, বাংলার আলু ভিন রাজ্যে যাওয়ার অনুমতি পেলেও খুচরো বাজারে আলুর দামে এখনও কোনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি৷