মহেশতলা: সামনে কালীপুজো। আর কালীপুজো মানেই বাজি। তবে সাধারণ বাজি ছাড়াও এই সময়ে বেআইনি বাজির রমরমা বাড়ে প্রতিবছরই। চলতি বছরও তার ব্যতিক্রম নেই। ইতিমধ্যে মহেশতলার নুঙ্গি বাজিবাজারে হানা পড়েছে পুলিশের আর সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৫০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি। সোমবার মহেশতলা এবং বজবজ থানার আধিকারিকরা যৌথ অভিযান চালিয়েই এই বাজি উদ্ধার করেছে।
কালীপুজোর আগে বেআইনি বাজি রুখতে যথেষ্ট তৎপর পুলিশ। তারা শুধু বাজি বাজারে হানা দিচ্ছে তা নয়, বাজি বিক্রেতাদের যথাযথ লাইসেন্স আছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে তারা। পাশাপাশি যে সমস্ত ক্রেতারা বাজি কিনছেন তাদের ব্যাগও ভালো করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। এছাড়া ক্রেতাদের উদ্দেশ্য বলা হয়েছে, কিউআর কোড স্ক্যান করে তবেই যেন বাজি কেনা হয়। মনে করিয়েও দেওয়া হয়েছে যে, নিষিদ্ধ বাজি কিনলে কী শাস্তি বা জরিমানা হতে পারে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েকদিন ধরেই এই টহলদারি চলবে জায়গায় জায়গায়।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে বাজির শব্দমাত্রা বাড়ানো হয়েছে অনেকটা। এই ইস্যুতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। তবে হাইকোর্ট জানিয়েছে, আদালত এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নয়। তবে জনস্বাস্থ্য ও পশুদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে শব্দমাত্রার বিষয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিতে হবে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে। জানা গিয়েছে, এখন থেকে শব্দবাজি সর্বোচ্চ ১২৫ ডেসিবেল মাত্রা পর্যন্ত রাজ্যে বিক্রি হতে পারবে। তবে আতশবাজির ক্ষেত্রে তা সর্বোচ্চ ৯০ ডেসিবেল। এরপরই একটি সংগঠন কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে।