২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের মতোই বিক্ষোভে ২০১৭-র উত্তীর্ণরা, ইন্টারভিউ ইস্যুতে বড় প্রশ্ন

২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের মতোই বিক্ষোভে ২০১৭-র উত্তীর্ণরা, ইন্টারভিউ ইস্যুতে বড় প্রশ্ন

কলকাতা: করুণাময়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরের সামনে লাগাতার চার দিন ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। ইতিমধ্যেই তাদের অনশনের ৫৩ ঘণ্টা, ধর্নার ৭৪ ঘণ্টা পার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বিক্ষোভ থামার কোনও লক্ষণ নেই। এদিকে তাদের মতোই ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণরা করুণাময়ীতে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেছে। তাদের সঙ্গে পুলিশের একপ্রস্ত ধ্বস্তাধস্তি হয়। কিন্তু বিক্ষোভ কিছুতেই বন্ধ করানো যায়নি।

আরও পড়ুন- ইডির পক্ষে রায়ের বিরোধিতা, দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ সায়গল

পর্ষদ ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, পদ্ধতি মেনে আবেদন ও ইন্টারভিউয়ে বসতে হবে চাকরিপ্রার্থীদের। কিন্তু ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য অন্য। তারা জানাচ্ছে,  দু’-দু’বার ইন্টারভিউ দিয়েছেন তারা, তাই ফের একবার ইন্টারভিউ দিতে নারাজ। এদিকে ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণদের কথা, ২০১৪-র ওরা দু’বার ইন্টারভিউ দিয়েছে। কিন্তু ইন্টারভিউ দেওয়ার পরও অবস্থান করছে কোনও কারণে। তারাও যদি তাদের সঙ্গে যদি বসে তাহলে সিট বাড়াতে হবে বলে দাবি করা হচ্ছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, গত দু’ দিনে অনশন মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন একাধিক আন্দোলনকারী। কিন্তু কেউই কোনও ভাবে আন্দোলন বন্ধ করতে রাজি নয়।

এই গোটা ইস্যুতে মুখ খুলে আগেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল এই অবস্থানের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এমনকি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী চান সবার যোগ্যতার নিরিখে চাকরি হোক। প্রার্থী যোগ্য কিনা তা যাচাইয়ের জন্য ইন্টারভিউয়ে বসতে হবে। আসলে গৌতম পাল জানান, ২০১৭ সালে যাঁরা টেট পাশ করেছেন, তাঁরাও চাকরির দাবিদার৷ ২০১৬ সালের রিক্রুটমেন্ট আইন মেনে নিয়োগ দিতে হবে৷ ২০২১ সালে ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা ছিলেন না৷ ২০২০ সালে মুখ্যমন্ত্রী যে সাড়ে ১৬ হাজার পদ তৈরি করেছিলেন, সেখানে ২০১৭ সালের টেট পাশ প্রার্থীরা না থাকলেও এবার তাঁরাও অংশ নিচ্ছেন৷ এতেই আপত্তি ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − 17 =