কলকাতা: ১ হাজার ৯১১ জন গ্ৰুপ-ডি কর্মীর চাকরি গিয়েছে ইতিমধ্যেই। এবার চিন্তা বেড়ে যাচ্ছে নবম-দশমের আরও ৮০৫ জন শিক্ষকের। গোয়েন্দা সংস্থার তরফ থেকে জানান হয়েছে, এই সকল শিক্ষকদের ওএমআর সিটের কারচুপির তথ্য মিলেছে। তাই তাদের সকলের যে চাকরি যেতে পারে এমন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি রয়েছে। এখন আপাতত তার দিকেই তাকিয়ে সকলে।
আরও পড়ুন- ভাষণ দেওয়ার সময় শুনতে হল ‘আদানি…আদানি’! সংসদে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী
জানা গিয়েছে, নবম-দশম শ্রেণির ৮০৫ জনের ওএমআর সিটে কারচুপি রয়েছে। তারা সাদা খাতা জমা দিলেও তাদের নম্বর সার্ভারে বাড়ানো হয়েছিল। কোনও প্রভাবশালীর মদতে এই কাজ হয়েছে বলেই অনুমান। সাদা খাতা জমা দেওয়া চাকরিপ্রার্থীরাই ৪০-এর ওপর নম্বর পেয়ে চাকরিতে নিযুক্ত হয়েছেন। স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছেও এই তথ্য পেশ করেছে গোয়েন্দা সংস্থা। এর আগে শুক্রবার এসএসসি-র আইনজীবী আদালতে স্বীকার করে নেন যে, ১ হাজার ৯১১ জন গ্ৰুপ-ডি প্রার্থীকে অন্যায় ভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। আদালতকে এও জানান হয়, সেই সময় দায়িত্বে ছিলেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। কমিশন তথ্য যাচাই করে আদালতে হলফনামা দিয়ে স্বীকার করে নেয়, ওই সব প্রার্থীর ওএমআর সিটে কারচুপি করা হয়েছে৷ নম্বর বাড়িয়েই তাঁদের চাকরির সুপারিশপত্র দেওয়া হয়৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”TETএর ফল প্রকাশ, প্রথম বর্ধমানের ইনা! Primary TET results declared, Burdwan’s Ina tops exam” width=”835″>
এদিকে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলায় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ রায় ঘোষণা স্থগিত রেখেছে। জানান হয়েছে, আপাতত সিঙ্গল বেঞ্চের প্রক্রিয়ার ওপর কোনও নির্দেশ থাকবে না। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশের প্রেক্ষিতে আলাদা আলাদা রায় জানান হবে। ওএমআর সিট নষ্টের ইস্যুতে বিচারপতি বসু নির্দেশ দেন, সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-কে আইন অনুযায়ী নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে ৮০৫ জনের চাকরি বাতিলের প্রক্রিয়া ৭ দিনের শুরু করতে হবে। সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন চাকরি যাওয়া শিক্ষকেরা।
আরও পড়ুন- ১২টার আগে গিয়েও লাভ হল না, অবৈধ চাকরি প্রাপকদের সোমবার আসতে বলল হাই কোর্ট
সোমবার তাঁদের আইনজীবীদের বক্তব্য, শুধুমাত্র সিবিআইয়ের দেওয়া ওএমআর শিট থেকেই চাকরি বাতিল করতে পারে না এসএসসি। কারণ, কমিশন বলছে আসল ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চে আবেদনকারীদের আর্জি, কমিশনের বলছে, আইন অনুযায়ী ভুল কোনও তথ্য দিয়ে চাকরি পেয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর সুপারিশপত্র স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে বাতিল করবে কমিশন। কিন্তু এই ভুল কী ভাবে হল? কাদের জন্য ভুল? এত পরীক্ষার্থী কি ভুল করল? ডিভিশন বেঞ্চে তাঁদের আবেদন, সুপারিশপত্র বাতিলের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। না হলে গ্ৰুপ-ডি কর্মীর মতো এখানেই চাকরি চলে যাবে।