কলকাতা: ডিএ নিয়ে সরকারি কর্মীদের একাংশের ধর্মঘট রুখতে নানা পন্থা নিয়েছিল রাজ্য প্রশাসন। বৃহস্পতিবার এক দফায় নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল এবং শুক্রবারও আরেক দফা প্রকাশ করা হয়। এই নির্দেশিকায় কাজ হয়েছে বলেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দাবি করেছে নবান্ন। জানান হয়েছে, আজ ধর্মঘটের দিন রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে ৯০ শতাংশ বা তার বেশি কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন এবং কাজকর্ম স্বাভাবিক হয়েছে। এক কথায়, ধর্মঘটের কোনও প্রভাবই পড়েনি এদিন।
আরও পড়ুন- কুন্তল সহ তিনজনের জামিন খারিজ আবার, ১৪ দিনের হেফাজত
জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্র দফতর, অর্থ, পর্যটন, শিল্প, কৃষি সব ক্ষেত্রেই এদিন উপস্থিতির হার ছিল ৯০ শতাংশের বেশি। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে তো ১০০ শতাংশ উপস্থিতি ছিল বলে জানান হয়েছে। এছাড়া একাধিক দফতরে ৯৫ শতাংশ, ৯৬ শতাংশ উপস্থিতি ছিল। শুধুমাত্র স্বাস্থ্য দফতরেই ৮২ শতাংশ উপস্থিতি ছিল বলে জানা গিয়েছে। সরকারের তরফে প্রথম নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল শুক্রবার যারা কাজে যোগ দেবে না তাদের বেতন তো কাটা যাবেই, এমনকি তাঁর কর্মজীবনেও ছেদ (সার্ভিস ব্রেক) পড়বে। শুক্রবারের বিজ্ঞপ্তিতে আরও কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়। তাতে কাজ হয়েছে বলেই দাবি।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা SLST চাকরিপ্রার্থীদের! SLST job aspirants stage unique protest in Kolkata” width=”835″>
শুক্রবার রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছিল, কর্মীদের চার বেলা হাজিরায় সই করতে। তার জন্য জেলায় জেলায় ‘অ্যাটেনডেন্স ফরম্যাট’ পাঠানো হয়েছিল। এমনিতেই গতকাল নবান্ন প্রথম নির্দেশিকায় জানিয়েছিল, দিনের প্রথমার্ধে হোক কিংবা দ্বিতীয়ার্ধে, এই দিনটিতে কোনও ছুটি নেওয়া যাবে না। তাই কর্মীরা সত্যিই সারাদিন অফিসে আছেন কিনা তা নিশ্চিত করতেই এই পন্থা নিয়েছিল সরকার।