কলকাতা: যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই তৃণমূলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক ঘোষিত হলেন। জাতীয় কর্মসমিতি বৈঠকের পর আজ এই ঘোষণা করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির প্রথম বৈঠক ছিল। জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের আগে আলাদা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা বলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে। এর পর বড় ঘোষণা হয়েই গেল দলের পক্ষ থেকে। উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারির পর তৃণমূলের সমস্ত সর্বভারতীয় পদ বিলোপ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন- ১২ ঘণ্টা আগেই মেট্রোর টিকিট বুকিং! কীভাবে সম্ভব
আগেই দলীয় সমস্ত পদের অবলুপ্তি ঘটানো হয়েছিল। তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতিতে ছিলেন মমতা, অভিষেক ছাড়া ১৯ জন। সেই সময় জানান হয়েছিল পদাধিকারীদের নাম চূড়ান্ত করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নাম চূড়ান্ত হওয়ার পর সেই তালিকাও জানিয়ে দেওয়া হবে৷ নিয়ম মেনে ভারতের নির্বাচন কমিশনকে এই কর্মসমিতি ঘোষণার কথা জানানো হবে৷ সেই সঙ্গে পদাধিকারীদের নামও চূড়ান্ত হওয়ার পর জানিয়ে দেওয়া হবে৷ নতুন কর্ম সমিতি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত পুরনো পদের অবলুপ্তি ঘটানো হয়েছে৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পদকের যে পদে ছিলেন, সেই পদেরও অবলুপ্তি ঘটে গিয়েছিল তখন। সুতরাং পদ ফিরে পেলেন অভিষেক। এছাড়াও সহ-সভাপতি হয়েছেন যশবন্ত সিনহা, সুব্রত বক্সী, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতিতে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (সভানেত্রী), অমিত মিত্র, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, বুলুচিক বরাইক, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সুখেন্দু শেখর রায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অসীমা পাত্র, মলয় ঘটক, রাজীব ত্রিপাঠি, অনুব্রত মণ্ডল, গৌতম দেব, যশবন্ত সিনহা, অরূপ বিশ্বাস, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়৷