বহরমপুর: সুতপা হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়। সুশান্তের সঙ্গে সুতপার বিয়ে হয়েছিল। জেরার মুখে এমনটাই দাবি করেছেন অভিযুক্ত বলে জানা যাচ্ছে। তবে এই বিষয়ে মুর্শিদাবাদের শীর্ষস্থানীয় পুলিশ আধিকারিক কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। এই বিষয়ে মুখ খুললেন সুশান্তের পিসি।
অভিযুক্তের পিসি শান্তি রানি চৌধুরী বলেন, সুশান্তের সঙ্গে সুতপার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানতাম। অনেকেই এখন বলছে, ওরা নাকি বিয়ে করেছিল। কিন্তু এই বিয়ের বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। পাশাপাশি তিনি বলেন, দুই বছর আগে একবার ওকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলাম। তারপর একবার আসে পড়াশোনার কাজে। সেই সময় পাড়ার ছেলেরা সুশান্তকে হেনস্থা করে। পাড়ার ছেলেরা ওকে মারধর করে। শান্তি রানি চৌধুরি মনে করছেন, সেই রাগ থেকে হয়তো সুতপাকে খুন করেছে সুশান্ত। পাশাপাশি তিনি বলেন, ছেলেটা এসব থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বেরিয়ে আসতে পারল না।
অন্যদিকে, সুতপার পরিবারের তরফে দাবি করা হয়, সুশান্তের জন্যই একধিকবার ফোনের নম্বর বদল করতেন সুতপা। তারপরেও যে কোনওভাবেই সুশান্ত নতুন নম্বর পেয়ে যেতেন। ফোনে সুতপা জ্বালতন করতেন। অন্যদিকে, পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সুতপার কোনও এক বান্ধবী বোন পাতিয়েছিল সুশান্ত। তার কাছ থেকেই সুশান্ত সুতপার যাবতীয় খবর পেয়ে যেত। সে কখন বাজারে যাচ্ছে, যে কখন সিনেমা দেখতে যাচ্ছে, এই বিষয়ে নজরদারি চালাত। তবে সুতপা ও সুশান্তের মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তি কেউ এসেছিলেন কি না, এই বিষয়ে পুলিশের তরফে কোনও বিস্তারিত মন্তব্য করা হয়নি।
সোমবার সন্ধ্যাবেলায় বহরমপুরে প্রকাশ্যে প্রেমিকা সুতপাকে হত্যা করে সুশান্ত। সাধারণ মানুষ সুশান্তকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে খুন করার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। সুশান্ত ও সুতপা দুজনের বাড়ি মালদাতে। সুষান্তের হাত থেকে রেহাই পেতে সুতপা বহরমপুরের কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন বলে জানা যায়। অন্যদিকে, সুশান্ত সুতপার ওপর নজর রাখতে কিছুদিন আগেই বহরমপুরে একটি মেস ভাড়া নিয়েছিল। ঘটনার দিন খুন করে মেসে পোশাক বদলে মালদার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে সুশান্ত। সামসেরগঞ্জে একটি বাস থেকে সুশান্তকে গ্রেফতার করা হয়।