দিল্লি হিংসার মাস্টারমাইন্ডের সঙ্গে বিজেপির ‘ঘনিষ্ঠতা’! ছবি দেখাল তৃণমূল

দিল্লি হিংসার মাস্টারমাইন্ডের সঙ্গে বিজেপির ‘ঘনিষ্ঠতা’! ছবি দেখাল তৃণমূল

কলকাতা: দিল্লি জাহাঙ্গিরপুরীর অশান্তির মূল পাণ্ডা মহম্মদ আনসার বাংলার হলদিয়ার বাসিন্দা। গতকালই তার সঙ্গে হলদিয়া পুরসভার তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর আজিজুল রহমানের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে তোলপাড় সব জায়গায়। তৃণমূল কাউন্সিলর নিজেই আনসারের সঙ্গে তাঁর পরিচিতির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। বিতর্ক আরও বেড়েছে এই স্বীকারোক্তির পর। তবে এবার তৃণমূল ছবি প্রকাশ করে দেখাল বিজেপির সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠতা’ ছিল আনসারের। একে একে টুইট করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুজিত বসুরা।

আরও পড়ুন-খনি প্রকল্পের বিরোধিতা করে রণংদেহী আদিবাসীরা, উত্তপ্ত ডেউচা-পাচামি

যে ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, দিল্লিতে বিজেপির নানা কর্মসূচিতে আনসার উপস্থিত! তার মাথায় রয়েছে বিজেপির টুপি, পাশে একাধিক বিজেপি নেতা। ছবি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে। ঘটনাচক্রে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেছিলেন, দিল্লি হিংসায় ধৃত আনসার বছর খানেক আগে তাঁর গাড়িতে হামলা চালিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেই বিজেপি নেতাদের সঙ্গে আনসারের এই ছবিগুলি ভাইরাল হল। তৃণমূলের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, আনসারদের আশ্রয় দেয় বিজেপি। স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, তাদের সঙ্গে আনসারের ঘনিষ্ঠতা।

এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় টুইট করে লিখেছেন, ”সত্যিই বিশ্বাস করি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাই আমাদের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত! অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। আমরা দেখতে পাচ্ছি আনসার কী ভাবে বিজেপি ঘনিষ্ঠ।” অন্যদিকে মন্ত্রী সুজিত বসু টুইট করেছেন, ”ন্যায়বিচার আমাদের একমাত্র অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। বিজেপি নেতাদের সঙ্গে আনসারকে বহুবার দেখা গিয়েছে।” এখন বিজেপি নেতৃত্ব এর কী প্রতিক্রিয়া দেয় সেটাই দেখার।

 

আরও পড়ুন-রাজ্যের কাছে পাঁচটি ধর্ষণ মামলার রিপোর্ট ও কেস ডায়েরি তলব করল হাই কোর্ট

গতকাল আনসারকে চেনার বিষয়টি মেনে নিয়েছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর। এও বলেছেন যে, আগে তিনি ওকে চিনতেন এবং সেই প্রেক্ষিতেই ছবি। অনেকেই ছবি তোলে, তাতে কোনও সমস্যা থাকতে পারে না। এমনই মত ঘাসফুলের এই কাউন্সিলরের। তিনি প্রশ্ন তোলেন, অনেক নেতাদের সঙ্গে অনেকেই বসে আড্ডা দেন, ছবি তোলেন, তাতে অসুবিধা কোথায়?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 5 =