রাজ্য অশান্তি থামছেই না! হস্তক্ষেপ চেয়ে চারজনকে চিঠি বিজেপি সাংসদের

রাজ্য অশান্তি থামছেই না! হস্তক্ষেপ চেয়ে চারজনকে চিঠি বিজেপি সাংসদের

কলকাতা: হজরত মহম্মদকে নিয়ে যে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মা তা নিয়ে যে উত্তাপ ছড়িয়েছে তা এখনও থামছে না। বাংলা সহ একাধিক রাজ্যে উত্তপ্ত পরিবেশ। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফ থেকে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেই গ্রেফতার হয়েছে দু’শোর অধিক। কিন্তু বিজেপি সহ বিরোধী দলগুলির অভিযোগ শেষ হচ্ছে না। রাজ্য সরকারকেই তারা সমগ্র পরিস্থিতির জন্য দায়ি করছে। এই অবস্থায় বাংলায় শান্তি ফেরানোর জন্য আর্জি করে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চেয়েছেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। চারজনকে চিঠি দিয়েছেন তিনি এই মর্মে।

আরও পড়ুন- নজরে রাষ্ট্রপতি ভোট, BJP বিরোধীদের একজোট হওয়ার ডাক দিয়ে দিল্লি যাচ্ছেন মমতা

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের কাছে বাংলার বর্তমান অবস্থার কথা ব্যাখ্যা করে চিঠি দিয়েছেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তাঁর অভিযোগ, সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য যোগ্য ভূমিকা পালন করছে না রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে কী ভাবে হাওড়া সহ একাধিক জায়গায় তাণ্ডব চালানো হয়েছে, এমনকি বিজেপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি এও অভিযোগ করে জানিয়েছেন যে, সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি পর্যন্ত পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বিক্ষোভ দেখানোর নাম করে। তাই তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চাইছেন। বলে রাখা ভালো, হাওড়া যেতে গিয়েই বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে আটক করেছিল পুলিশ। বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

তবে গতকাল সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম জানান, হিংসার ঘটনায় যুক্ত এবং অশান্তি ছাড়ানোর জন্য যারা কাজ করছে তাদের কাউকে ছাড়া হবে না। সমস্ত পুলিশ আধিকারিকদের এব্যাপারে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে বলেই জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি সকলকে অবগত করে জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে ৪২টি এফআইআর রুজু হয়েছে। তার মধ্যে ১৭টি এফআইআর হয়েছে হাওড়া কমিশনারেট এলাকায়। ৯টি এফআইআর হয়েছে হাওড়া গ্রামীণ এলাকায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine + five =