কলকাতা: বালিগঞ্জের প্রার্থী হিসেবে যেদিন বাবুল সুপ্রিয়র নাম ঘোষণা করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস সেদিন থেকেই একটা চাপা অসন্তোষ ছিল দলের অন্দরের একাংশে। বিজেপি থেকে আসা বাবুলকে অনেকের মেতে নিতে কষ্ট হয়েছিল। যে বাবুল গত বছর বিধানসভায় বিজেপির প্রার্থী হয়ে তৃণমূল সরকার এবং বাংলার জনগণকে কড়া ভাষা শুনিয়েছিলেন, সেই বাবুল তৃণমূলের বালিগঞ্জের প্রার্থী। তবে না-খুশ পরিস্থিতি থাকলেও তিনি যে জিতবেন তা আন্দাজ করা গিয়েছিল। কিন্তু প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের জয়ের ব্যবধান ছুঁতে যে তিনি পারবেন না তা নিশ্চিত ছিল। কিন্তু ভোটের ফলে দেখা গেল, ব্যবধান ছোঁয়া তো দূর, তাঁর ধারেকাছেই নেই বাবুল।
আরও পড়ুন- ২০১৬-র পর হয়নি পরীক্ষা, কবে হবে জানা নেই, দুর্নীতির কাঁটায় বিদ্ধ এসএসসি
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বালিগঞ্জে ৭৫ হাজার ৩৩৯ ভোটে বিজেপিকে হারিয়েছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। পেয়েছিলেন ৭০ শতাংশেরও বেশি ভোট। এক বছরের মাথায় এই কেন্দ্রেই তৃণমূলের ভোটে বিরাট মাত্রায় পতন হয়েছে। উপনির্বাচনে বাবুল সুপ্রিয় ভোট পেয়েছেন প্রায় ৪৮ শতাংশ। ৭০ থেকে এক দফায় ৪৮ শতাংশ! উল্টোদিকে চমকপ্রদ ফল করেছে সিপিএম। বিধানসভায় বালিগঞ্জে সংযুক্ত মোর্চার সিপিএম প্রার্থী ৫.৬১ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। আর এবার উপনির্বাচনের সিপিএমের প্রার্থী সায়রা হালিম সেখানে পেয়েছেন প্রায় ৩৬ শতাংশ ভোট। অনেকেই মনে করেছিল বাবুল হয়তো ৪০ হাজার ভোটে জিতবেন। কিন্তু দেখা গেল তিনি জিতেছেন ঠিকই কিন্তু ২৫ হাজারের ব্যবধানও করতে পারেননি।
তবে ভোট কেন কম পড়েছে তার একটা ব্যাখ্য এসেছে ঘাসফুলের তরফে। তাদের বক্তব্য, বিধানসভায় যা ভোট পড়েছিল তার থেকে কম শতাংশ ভোট পড়েছে উপনির্বাচনে। সেই আন্দাজে ভোট শতাংশ তৃণমূলের জন্য ঠিকই আছে। আর মানুষের যদি তৃণমূলে ভরসা না থাকতো তবে আসানসোলের ওই ফল হয় না। ইতিমধ্যেই এই ফলাফল নিয়ে টুইট করে বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, ”আসানসোল এবং বালিগঞ্জের ভোটারদের আমি ধন্যবাদ জানাই আমাদের তৃণমূল প্রার্থীদের পক্ষে জনমত দেওয়ার জন্য।”