কলকাতা: লালন শেখের মৃত্যু ঘটনা নিয়ে এবার আদালতের ‘ধমক’ খেতে হল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইকে। বিচারপতির বক্তব্য, বাড়াবাড়ি করলে মামলা খারিজ করে দেওয়া হবে। লালন শেখের মৃত্যুর পর অভিযোগের চিঠি কে লিখে দিয়েছিল? এই প্রশ্ন তোলার পরই ‘ধমক’, তারপর কড়া মন্তব্য করেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
আরও পড়ুন- আইনজীবীদের ‘অপরাধ’ খতিয়ে দেখতে হাই কোর্টে ভারতীয় বার কাউন্সিলের তিন সদস্য
বিষয় হল, লালন শেখের মৃত্যু রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে সিবিআইয়ের ‘ভোলবদলে’। কারণ সিবিআই বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর এজলাসে একটি আবেদনের এফআইআর খারিজ হয়েছে। আর অন্য একটি মামলার স্থানান্তর চেয়ে আবেদন করা হয় বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে। এই নিয়ে সরকার পক্ষের আইনজীবী তীব্র প্রতিবাদ করেন। তবে সিবিআইয়ের আইনজীবী বক্তব্য, লালনের স্ত্রীর অভিযোগ রাত দু’টোয় লেখা হয়েছে। এদিকে রাত ১’টায় লালন হাসপাতালে ছিল আর্ সেখানে তার স্ত্রী ব্যস্ত ছিল। তাই আদালতে আইনজীবীর দাবি, এই ১ ঘন্টা সময়ের ব্যবধানে কী হয়েছে তা জানা গেলে রহস্যের জট খুলে যেতে পারে।
সিবিআইয়ের আবেদনের ভিত্তিতে সরকারি আইনজীবী শাশ্বত গোপাল মুখোপাধ্যায় জানান, কেস ডাইরিতে তথ্য লেখাই আছে। তাহলে আবার আলাদা করে জানানোর প্রয়োজন কী, এই প্রশ্ন তাঁর। এই মামলার পরের শুনানি ৩১ জানুয়ারি। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় চার অফিসারকে সাসপেন্ড করেছে সিবিআই। লালনের মৃত্যুর সময় কেন্দ্রীয় সংস্থার রামপুরহাটের অস্থায়ী শিবিরে কর্তব্যরত ছিলেন ওই চার অফিসার। তবে লালনকাণ্ডে নাম জড়ানো আরও এক সিবিআই কর্তার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি বলেই সিবিআই সূত্রে খবর।