আগুন নেভাতে কেউ বাধা দিয়েছিল? সিবিআইয়ের সামনে দমকল

আগুন নেভাতে কেউ বাধা দিয়েছিল? সিবিআইয়ের সামনে দমকল

রামপুরহাট: বগটূই গ্রামে সেদিন রাতে যা হয়েছে তাতে আতঙ্ক এখনও কাটেনি। পরপর বাড়িতে আগুন লাগানো হয় যার জেরে ইতিমধ্যেই ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়ে বিরাট তৎপরতা দেখাচ্ছে সিবিআই। ইতিমধ্যে বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছে তারা যা আসল দোষীকে শাস্তি দিতে পারবে বলেই দাবি করা হচ্ছে। সিবিআইয়ের নজরে রয়েছে দমকল বাহিনীও যারা সেদিন রাতে আগুন নেভাতে গিয়েছিল। কেউ কি তাদের আগুন নেভাতে বারণ করেছিল, বা বাধা দিয়েছিল? এই প্রশ্ন উত্তর খুঁজছে গোয়েন্দারা।

আরও পড়ুন- ইডি-র হাজিরা এড়ালেন অভিষেক! ই-মেল করে জানালেন কারণ

তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনের পর একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে, অন্য এক তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেনের নেতৃত্বে এই ঘটনা ঘটেছিল এবং তাতে সমান অংশীদার ছিল পুলিশ। আনারুল নাকি পুলিশকে বাধা দিয়েছিল ঘরে ঢুকতে। তাহলে কি দমকলকেও সে বাধা দিয়েছিল, নাকি পুলিশ দমকলের কাজে হস্তক্ষেপ করেছিল। এই সব প্রশ্নের উত্তর চাইছে সিবিআই। সেই কারণেই দমকলের দুই অফিসারকে সিবিআই ক্যাম্পে তলব করা হয়েছে। আগুন লাগার পর দমকল সেদিন কখন পৌঁছেছিল, ঘটনাস্থলে পৌঁছে কী দেখেছিল, সব কিছুই জানতে চাইছে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যেই রামপুরহাট হাসপাতাল, বগটুই মোড় ও হাইওয়ে সংলগ্ন এলাকায় সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে সিবিআই।  আবার বগটুই গ্রামের নাজিমা বিবি সিবিআইকে মৃত্যুলাকীন জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সেই তথ্য নাকি বিস্ফোরক বলে সূত্রের খবর।

এই তদন্তের মাঝে আরও তিনজন গ্রেফতার হয়েছে। তিন জেলা থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে বীরভূম পুলিশ। মালদহ, ঝাড়গ্রাম ও রামপুরহাট থেকে তিনজন গ্রেফতার হয়েছে।  বীরভূম জেলা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম শেরা শেখ, সঞ্জু শেখ ও রাজা শেখ। তারা পালিয়ে গিয়ে এই সব জেলায় লুকিয়ে ছিল বলে গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিল বীরভূম পুলিশ। জেলার সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চল থেকে তাদের পাকড়াও করে তারা। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − 3 =