কলকাতা: শুক্রবার দক্ষিণ আন্দামানে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। শনিবার তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। রবিবার বিকেলে এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় অশনিতে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা উপকূলে ঘূর্ণিঝড়টি অবস্থান করবে বলে জানা গিয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের খবর, এর জেরে রাজ্যে মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বজ্র বিদ্যুৎ সহ ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর ১০ মে থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমু্দ্রে যেতে নিষেধ করেছে। ১১ থেকে ১৩ মে পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। উপকূলের জেলাগুলিতে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কম। ৯ তারিখ অর্থাৎ সোমবার দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার একটু বাড়বে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার বিকেলে ঘূর্ণাবর্তটি আর শক্তিশালী হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভবাবনা। রবিবার শক্তিবাড়িয়ে এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা হবে। ১০ তারিখ নাগাদ এই ঘূর্ণিঝড় অশনি অন্ধ্র ও ওড়িশার উপকূলের কাছাকাছি থাকলেও সেখানে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই বলে আবহাওয়াবিদদরা জানিয়েছেন। সেখান থেকে ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পূর্বে বাঁক নিতে পারে। যার জেরে প্রথমে ওড়িশা ও পরে বাংলাদেশ উপকূলে এগিয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। যার জেরে বাংলায় অশনির প্রভাব কমতে পারে। তবে উপকূলের জেলাগুলোতে ভারি থেকে অতি ভারির বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, এই ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি কমে স্থলে ঢুকতে পারে। যার জেরে অশনি ঘূর্ণিঝড়ের তকমা খোয়াতে পারে বলেও মনে করছে আবহাওয়াবিদরা।