গুগলে দেড় কোটি টাকার চাকরি পেলেন কৃষ্ণনগরের দেবর্ষি মৈত্র

গুগলে দেড় কোটি টাকার চাকরি পেলেন কৃষ্ণনগরের দেবর্ষি মৈত্র

 

কৃষ্ণনগর: স্বপ্ন ছিল বড়, তাই প্রচেষ্টাও যথাসাধ্য। লক্ষ্য স্থির রেখে এগিয়ে চলার নামই সংগ্রাম। সেই সংগ্রামে  সাফল্যে মেলায় খুশি পরিবার থেকে প্রতিবেশী ও শিক্ষকরা। ছাত্রের এই সাফল্য অর্জনের খবর পেয়েই খুশি শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বয়স ২৩ বছর নাম দেবর্ষি মৈত্র। পেয়েছেন গুগলে চাকরি। বেতন বছরে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। এই সংবাদে খুশি কৃষ্ণনগর ঘূর্ণির মৈত্র পরিবার। ছেলে গুগলে চাকরি পেয়েছে এটা শুনেই খুশি তার পরিবার ও এলাকার মানুষ। পরিবারের দাবি তাদের ছেলে কিছু না কিছু একটা করবে এই ধারণা আগে থেকেই ছিল।

২০১৬ সালে কৃষ্ণনগর হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও ২০১৮ সালে কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে দেবর্ষি। তারপর জয়েন্ট পরীক্ষা দিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হন মেধাবী ছাত্র। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা শেষ হলেও রেজাল্ট এখনো হাতে পাননি। এরইমধ্যে অসাধ্য সাধন করে ফেলেছেন নদিয়ার কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণি বাসিন্দা দেবর্ষি মৈত্র। তিনি গুগলের লন্ডন অফিসে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজের সুযোগ পেয়েছেন।

পরিবার সূত্রে জানা যায় দেবর্ষি জানিয়েছেন ছোট থেকেই তার ইচ্ছে ছিল গুগলের মত বড় কোম্পানিতে চাকরি করার। সেইমতো স্নাতক এর চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা শেষে নিজেই গুগোল এ যোগাযোগ করে। তারপরেই বিভিন্ন ধাপে ধাপে পরীক্ষার মাধ্যমে সেখানে কাজের জন্য মনোনীত হয়েছেন। দিন দুয়েক আগেই গুগোল এর পক্ষ থেকে মেলের মাধ্যমে জানানো হয়েছে চাকরি নিশ্চিত বলে। কিছুদিনের মধ্যেই দেবর্ষি মৈত্র লন্ডনের অফিসে চাকরিতে যোগদান দিতে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন।

দেবর্ষির এই সাফল্য অর্জনের নেপথ্যে পরিবারের অনুপ্রেরণা ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ভূমিকা কখনোই ভোলার নয় বলেও পরিবারকে জানিয়েছেন দেবর্ষি । ছেলের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণি মৈত্র পরিবার। এই বঙ্গ সন্তানের বাবা বাদল মৈত্র গ্রিলের ব্যবসায়ী। মা বকুল দেবী গৃহবধূ। এছাড়াও দিদি শর্মিষ্ঠা মৈত্র স্কুল শিক্ষিকা।বাবা বাদল মৈত্র বলেন ছোট থেকেই ছেলে মেয়েকে স্নেহ দিয়েই মানুষ করেছি। সন্তানদের সাফল্যে বাবা-মায়ের কাছে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ।এর আগেও ছেলে বেশ কয়েকটি নামী আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজের সুযোগ পেয়েছিল। তবে ওর ইচ্ছে ছিল গুগোল এ যোগ দেওয়ার ।ওর স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে , আমি খুশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × two =