কলকাতা: ইতিমধ্যে নিজের মেয়েকে অবৈধভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে৷ মেয়েকে নিয়ে কলকাতা আসার পথে ‘নিখোঁজ’ তিনি৷ এবার এই ইস্যুতেই সরব হলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ বলেছেন, ‘‘চুরি করলে পালিয়ে বেড়াতে হয়, তাই হচ্ছে। রাষ্ট্রের অধিকার এবং ক্ষমতা আছে তাঁকে বের করে খুঁজে নিয়ে আনার। আমার মনে হয় এটা হবে। এই ঘটনা খুব হতাশাজনক। এক্ষেত্রে নজিরবিহীন শাস্তি হওয়া উচিত।’’
বস্তুত, এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য৷ ইতিমধ্যে নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে রাজ্যের দুই মন্ত্রীর৷ এবার এই বিষয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা খতিয়ে দেখার দাবি তুললেন দিলীপ৷ ‘আমি কোনও অপরাধীর পাশে নেই’, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এই বিবৃতি তুলে ধরে দিলীপের প্রশ্ন, ‘‘এতদিন ব্যবস্থা নেননি কেন? তিনি জানতেন না অপরাধ হচ্ছে?’’ জবাবও দিয়েছেন নিজেই, ‘‘একটা বাচ্ছা ছেলেও জানে। টাকার ভাগ সবাই পেয়েছে। রাজ্যকে আর কত নীচে নাবাবে তৃণমূল।’’
আচার্য সদনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি উত্থাপন করে দিলীপ বলেন, ‘‘এখন যেটা ঘটছে আগেই ঘটা উচিত ছিল। শিক্ষার জন্য আমরা গর্বিত ছিলাম৷ সেই শিক্ষা ব্যবস্থা এখন কোথায় পৌঁছে গিয়েছে। দুর্নীতি হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রীকে সিবিআই দফতরে যেতে হচ্ছে। এই সরকারের আমলে বাংলার সার্বিক পতন হচ্ছে।’’ তবে আদৌ এদের শাস্তি হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন দিলীপ৷ তাঁর কথায়, ‘‘পার্টি জয়েন করলেই মন্ত্রীত্ব। সন্দেহ প্রকাশ করছি. এরা জেলে যাবে কি না! না গেলে সমাজের মধ্যে হতাশা নেমে আসবে।’’ মধ্যরাতেও আদালত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘কোর্ট বুঝতে পেরেছে এই দুর্নীতি মাথার উপর উঠে গিয়েছে। কোর্ট ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হচ্ছে। আশা করব এর রেজাল্ট ঠিকঠাক হবে।’’
টেনে এনেছেন ছাত্র বিক্ষোভের প্রসঙ্গও৷ দিলীপের কথায়, ‘‘ছাত্ররা যেভাবে লাথি মেরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে সেই পরিস্থিতি কেন তৈরি হল? হয় প্রশাসন ঠিক নেই না হলে সিদ্ধান্ত ঠিক নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর একটা সন্মান আছে, সেটা খেয়াল রাখা উচিত।’’