পানিহাটি: পানিহাটিতে তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলার খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ যে অস্ত্র দিয়ে ২৪ ডিসেম্বর হরিণঘাটায় বন্ধুকে গুলি করেছিল অমিত ওরফে শম্ভু পণ্ডিত, সেই অস্ত্রই ব্যবহার করা হয় অনুপম দত্ত খুনে৷ জেরার মুখে একথা জনিয়েছে শ্যুটার৷ পুলিশ সূত্রে খবর, আগরপাড়ার মহাজাতিনগরে মাসির বাড়ি আসার সুবাদে অনুপম দত্তকে ভালো করেই চিনত সুপারি কিলার অমিত৷ ধৃত বাপি পণ্ডিত জেরায় জানিয়েছে, এলাকার রাস্তাঘাট ছিল অমিতের নথদর্পনে৷ ফলে খুনের পর পালিয়ে যাওয়া সহজ ছিল৷ সেই কারণেই অমিতকে অনুপম দত্তকে খুনের বরাত দেয় বাপি৷
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পথে বাধা, পুলিশের সঙ্গে টেট উত্তীর্ণদের খণ্ডযুদ্ধে রণক্ষেত্র হাজরা মোড়
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, পুরনো শত্রুতার জেরেই খুন হন পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর৷ জানা গিয়েছেস ধৃত বাপি পণ্ডিতই অনুপম দত্তকে খুনের সুপারি দিয়েছিল অমিত ওরফে শম্ভু পণ্ডিতকে৷ বাপির রাজনৈতিক পরিচয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ আজ অনুপম দত্ত খুনের মামলার পুর্নির্মাণ হবে৷ ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার জানান, ‘‘এই ঘটনায় গতকাল পর্যন্ত দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ তদন্ত অনেকটাই এগিয়েছে৷ বেশ কিছু সাক্ষ্য প্রমাণও পুলিশের হাতে এসেছে৷ ২০২০ থেকে বেশ কিছু ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ ঠিকাদার বাপি পণ্ডিতই খুনের সুপারি দিয়েছিল৷ হরিণঘাটার ঘটনার সঙ্গে এই ঘটনার একটি লিঙ্ক রয়েছে৷ কোথা থেকে অস্ত্র আনা হয়েছিল, পুলিশ সেটা খতিয়ে দেখছে৷ তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে৷ এই ঘটনায় আরও গ্রেফতার হবে বলে জানান সিপি৷ ’’
পাশাপাশি তদন্তে জানা গিয়েছে, তৃণমূল কাউন্সিলর খুনের জন্য ৪ লক্ষ টাকার সুপারি দেওয়া হয়েছিল। কে বা কারা অত টাকা দিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে যে ওয়ান শটার দিয়ে অনুপম দত্তকে গুলি করা হয়েছিল, সেটা ১২ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিল বাপি পণ্ডিত।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>