পটাশপুর: দুচোখে সংসার করার স্বপ্ন দেখেছিলেন প্রেমিকা। ফেসবুকে আলাপ হলেও প্রেমিকের প্রতি পূর্ণ আস্থা ছিল যুবতীর। এতটাই আস্থা ছিল যে প্রেমিকের কথা যাচাই করেননি। প্রেমিক বলেছিল, পুলিশে চাকরি করে। ভাইয়ের চাকরি করে দেবেন। সেই জন্য অর্থ লাগবে মোটা অঙ্কের। ভালোবাসার মানুষের ওপর কি সন্দেহ করা সাজে! তাই তো দ্বিতীয়বার কোনও প্রশ্ন না করেই প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়েছিলেন বিশাল অঙ্কের টাকা ও গয়না। কিন্তু মাসের পর মাস চলে গেলেও ভাই পুলিশে চাকরি পায় না। ঘোর ভাঙে যুবতীর ও তাঁর পরিবারের। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ওই যুবক পুলিশে চাকরি করে না। প্রতারকের পাল্লায় পড়েছেন তিনি।
কোচবিহারের যুবতীর সঙ্গে আলাপ হয় মেদিনীপুরের পটাশপুরের যুবকের। যুবকের নাম পিন্টু দলুই। আলাপের কয়েকমাসের মধ্যে পিন্টুর সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক হয়। সেই সময় পিন্টু দাবি করেছিলেন, তিনি পুলিশে চাকরি করেন। পুলিশের পোশাক পরা একাধিক ছবিও যুবক দেখিয়েছিলেন। তারপর আর সন্দেহ হয়নি। যুবতীর ভাইকে চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন পিন্টু। বিনিময়ে যুবতীর পরিবারের কাছ থেকে চার লক্ষ টাকা ও সাড়ে তিনভরি সোনা হাতায়। কয়েক মাস কেটে গেলেও যুবতীর ভাইয়ের কোনও চাকরি হয় না। এরপরেই যুবতীর পরিবার খোঁজ নিয়ে জানতে পারে পিন্টু পুলিশে কাজ করে না।
শনিবার সকালে কোচবিহার থেকে প্রতারিত যুবতী ও তাঁর পরিবার পটাশপুরে হাজির হয়। ওই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ শনিবার রাতেই পটাশপুরে বাড়ি থেকে পিন্টু দলুইকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্তের বাড়ি থেকে পুলিশের ইউনিফর্ম ও সেই পোশাক পরা যুবকের বেশ কয়েকটা ছবি উদ্ধার করা হয়েছে।
পটাশপুর থানার ওসি দীপক চক্রবর্তী জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে. প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে পুলিশে চাকরি করে দেওয়ার নাম করে একাধিক জায়গা থেকে অর্থ আদায় করত। নিজেকে পুলিশের কর্মী বলে পরিচয় দিত। তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।