কলকাতা: সাত সকালে হাইকোর্টে অগ্নিকাণ্ড। যার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল। শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টা নাগাদ হাইকোর্টের ৩৪ নম্বর এজলাসের বিদ্যুতের তারের পোড়া গন্ধ পাওয়া যায়। সেই সময় এজলাসে ছিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। দ্রুত এজলাস খালি করে দেওয়া হয়। ছুটে আসে নিরাপত্তারক্ষীরা। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
আগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কার কলকাতা হাইকোর্টে কাজকর্ম ব্যহত। কিছুক্ষণের জন্য ৩৪ নম্বর এজলাসের কাজ বন্ধ রাখা হয়। তবে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিট থেকে বিদ্যুতের তার পোড়া গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। তবে নিরাপত্ত রক্ষীদের সক্রিয়তা বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। তবে কীভাবে ঘটনা ঘটল, তা এখনও বুঝতে পারেননি হাইকোর্টের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা কর্মীরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর ফের এজলাসে ঢোকেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। শুরু হয় কাজ।
ঘটনার পরে হাইকোর্টে নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। প্রতিটি এজলাসে বিদ্যুৎ সংযোগ ঠিক আছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হয়। এই ধরনের পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি এড়ানোর জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, শুক্রবার কাশীপুরের বিজেপির যুব মোর্চা কর্মীর মৃত্যুতে মামলা করার অনুমতি দিল আদালত। এদিন বিজেপির আইনজীবীদের আবেদনে সাড়া দেয় হাইকোর্ট। অন্যদিকে, এখনই বিজেপি মোর্চা কর্মী অর্জুন চৌরাশিয়ার মৃত্যুতে ময়নাতদন্ত না করার আবেদন করেন আইনজীবী সুবীর সান্যাল। যদিও অর্জুন চৌরাশিয়ার দেহ ইতিমধ্যে আরজি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। সেই ময়নাতদন্তের গোটা ঘটনার ভিডিওগ্রাফি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি ময়নাতদন্তের সময় পরিবারের সদস্যদের সেখানে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অমিত শাহ বাংলা সফরের দ্বিতীয় দিনে বিজেপি কর্মী অমিত চৌরাশিয়ার বাড়ি যেতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।