কলকাতা: বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী ‘ঘনিষ্ঠ’ শ্যামল আদকের এফআইআর খারিজের দাবিতে দায়ের মামলায় পুলিশের ভূমিকায় বিরক্ত কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। কী প্রয়োজনে এত তাড়াহুড়ো করা হল, এই প্রশ্নই তুলেছেন তিনি। কী এমন হল যেখানে এত দ্রুত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে হল? এমন প্রশ্নও তোলা হয়েছে। বিচারপতির আশা, রাজ্য আগামী মঙ্গলবার পরবর্তী শুনানিতে আদালতের এই সব প্রশ্নের জবাব দিয়ে সন্তুষ্ট করবে।
আরও পড়ুন- পর্ষদ নিজেকে হাইকোর্ট মনে করছে? সভাপতির হাজিরার নির্দেশ প্রত্যাহার করেও ‘ধমক’
এই মামলার শুনানিতে রাজ্যের উদ্দেশ্যে আদালতের বক্তব্য, দুর্নীতির কোনও অভিযোগে দেশের কোনও আদালত তদন্তে বাধা দেবে না। কিন্তু তদন্ত সংস্থা যদি ত্রুটি করে সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। বিচারপতি জানান তিনি পুলিশের ভূমিকায় সন্তুষ্ট নন। এমন কিছু উদাহরণ দেখাতে হবে যেখানে তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বা তিনি তথ্য প্রমাণ নষ্ট করছেন। উল্লেখ্য, হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে টেন্ডার নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। এই অভিযোগ দায়ের করেন এক নির্মাণ সংস্থার মালিক। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ এবং ঘাটাল পুরসভা এলাকার কাজে ভুয়ো নথি দেখিয়ে তাঁর সংস্থার নামে বিপুল টাকা নেওয়ার দাবি করা হয়েছিল।
এদিকে গত অক্টোবর মাসে শ্যামল আদকের নামে হুলিয়া জারি করেছিল মহকুমা আদালত। নির্মাণ সংস্থার মালিক যে অভিযোগ এনেছিল তার তদন্ত নেমেই পুলিশের হাতে টেন্ডার দুর্নীতির তথ্য উঠে আসে। কয়েক কোটি টাকার অনিয়মের নথি হাতে পায় পুলিশ। তবে এই অভিযোগ নিয়েও আদালত প্রশ্ন তুলেছে। বিচারপতি বলেছেন, ২০১৯ সালের ঘটনায় দু’বছর পরে কেন অভিযোগ করার কথা মনে হল, হজম হয়নি বিষয়টি।