কলকাতা: মঙ্গলবার আলিপুর দুয়ারে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় এক কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনেই রাজনৈতিক মিটিংয়ে ১১ বছরের একজন কিশোরী কীভাবে এল, সেই প্রশ্ন তুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ দিলীপের দাবি, ‘‘উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ১১ বছরের কিশোরী৷ সেখানে অসুস্থ কিশোরীকে জল খাইয়ে মুখ্যমন্ত্রী ছবি তুললেন৷ প্রশ্ন হচ্ছে, ১১ বছরের কিশোরী পলিটিক্যাল মিটিংয়ে এল কেন?’’
খানিক থেমে জবাবও দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ নিজেই৷ ‘‘তার মানে ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। সবুজ সাথী সাইকেল পেয়েছে বলে তাকেও আসতে হবে? মরুক বাঁচুক সবাইকে আসতে হবে? মা পরিবার বাচ্চা, সবাইকে আসতে হচ্ছে। কারণ সবুজসাথী বা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেয়েছে। জল খাইয়ে সিমপ্যাথি তৈরি করছেন। এটা নাটকবাজি।’’ – বুধবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে ঠিক এই ভাষাতেই মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ৷
টেনে এনেছেন ভবনীপুরে বৃদ্ধ বৃদ্ধা খুনের ঘটনাও৷ দিলীপ বলেন, ‘‘ভবানীপুরের ঘটনা ভাইপোর বাড়ির কাছে। ভাইপোর বাড়িতে ১০০ পুলিশ। পিসির বাড়ির সামনে ৫০ পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকে। তাও এরকম ঘটনা। এরা বহিরাগত বলে কি বাঁচার অধিকার নেই? এতদিন বিজেপির লোককে মারা হত। এখন পাবলিক মারা হচ্ছে। পুলিশ বুঝতেই পারছে না। রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই।’’
দাবি করেছেন, ‘‘একইরকম ভাবে কেকে-কে নিয়ে এসেছিল। চুড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। এই ড্রামা। মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা, এটা বন্ধ হওয়া উচিৎ।’’ নাড্ডার সঙ্গে মুখ বন্ধের চিঠির পর প্রথম দেখা। কথা হল? দিলীপের প্রতিক্রিয়া, ‘‘কাল গল্প হল। ওনার সঙ্গে এখন দুদিন আছি। কথা হবে।’’
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″ height=”315″ frameborder=”0″>
