কলকাতা: করোনা নিয়ে এখন আর তেমন চিন্তা নেই দেশ তথা রাজ্যবাসীর। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান যা বলছে তাতে নতুন কোনও ঢেউ আসার সম্ভাবনা প্রায় ক্ষীণ। দিন দিন কমছে সংক্রমণ। কিন্তু এতেই যে বিরাট স্বস্তি তা নয়। কারণ করোনা আবহেই প্রবলভাবে বাড়ছে একটি রোগ। আপাতত প্রকোপ সেইরূপ না হলেও আগামী দিনে আচমকাই ব্যাপক বড় সমস্যা তৈরি করবে এটি, এই ইঙ্গিত মিলছে। আর তাতে খারাপ অবস্থা হতে পারে পশ্চিমবাংলার। কথা হচ্ছে ডেঙ্গি নিয়ে।
আরও পড়ুন- শিয়রে সংকট, গরু পাচার কাণ্ডে CBI হাজিরা এড়িয়ে এবার ডিভিশন বেঞ্চে অনুব্রত
স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি সম্প্রতি একটি তালিকা প্রস্তুত করেছে যাতে কলকাতার ৪৩ টি পুরসভাকে সবচেয়ে বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ৪৩ টি পুরসভার মধ্যে শুধু উত্তর ২৪ পরগনাতেই রয়েছে ২৬ টি পুরসভা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কয়েকটি পুরসভা এলাকাও রয়েছে ডেঙ্গি নিয়ে আতঙ্ক। গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই মশার উপদ্রব তুলনামুলকভাবে বেড়ে যায়। আর বর্ষার পর ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। সেই প্রেক্ষিতে আগে থেকে এই রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতেই কাজ শুরু করতে চাইছে কলকাতা পুরসভা। ইতিমধ্যেই রোগ নিয়ন্ত্রণ কীভাবে করা হবে, তার একটি রূপরেখাও তৈরি করা হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সমস্যা আরও আছে। শুধু যে সবচেয়ে বিপজ্জনক এলাকা নিয়ে চিন্তা তা নয়। মাঝারি বিপদের তালিকায় আরও ৮৩ টি পুরসভা এলাকা! উত্তর ২৪ পরগনা বাদ দিয়ে হুগলি, হাওড়াও রয়েছে এই তালিকায়। শেষ দু’বছরে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির জন্য ডেঙ্গি নিয়ে সচেতন হওয়া যায়নি। তাই এই দুই বছরে চাপ আরও বেড়েছে। করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গি যাতে না ছড়ায় তার প্রেক্ষিতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ঠিকই, কিন্তু চাপা আতঙ্ক রয়েই যাচ্ছে। কারণ একাধিক জায়গায় জমা জল চাইলেও আটকানো যায়নি। ফলে কোভিডের পাশাপাশি ডেঙ্গুও অনেকের প্রাণ কেড়েছে।
আরও পড়ুন- বাংলা নামে লন্ডনের স্টেশন! গর্ব অনুভব করছেন মমতা
তবে এবার যাতে এই সমস্যা না হয় তার জন্য প্রত্যেকটি পুরসভা এলাকায় যে জনপ্রতিনিধিরা রয়েছেন, তাঁদেরকে এখন থেকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। ডেঙ্গি মোকাবিলায় প্রথম যা করণীয় তা যেন অক্ষরে অক্ষরে মানা হয় সেই নির্দেশ আসছে। মূলত পরিষ্কার জমা জলেই ডেঙ্গির মশার বিস্তার ঘটে। তাই কোনও এলাকাতেই যেন এইভাবে জল জমতে না পারে তার দিকে সবথেকে বেশি নজর দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া কলকাতা পুরসভা নিজেদের মতো করে এলাকায় এলাকায় স্প্রে দিচ্ছে এবং মানুষকে মশারি বা মশারোধক ক্রিম ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছে।