নন্দীগ্রাম নিয়ে কুণাল-শুভেন্দু বাকযুদ্ধ, তরজা তুঙ্গে সকাল থেকেই

নন্দীগ্রাম নিয়ে কুণাল-শুভেন্দু বাকযুদ্ধ, তরজা তুঙ্গে সকাল থেকেই

নন্দীগ্রাম: ৭ জানুয়ারি দিনটি প্রতি বছরই নন্দীগ্রাম দিবস হিসেবে পালন করে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২১ সালের আগে পর্যন্ত এই দিনটি পালন নিয়ে তেমন কোনও বিতর্ক না থাকলেও বিধানসভা ভোট বা বলা যেতে পারে শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপি যোগের পর তরজা শুরু হয়েছে। মূলত বিজেপি এবং তৃণমূল টক্কর চলে তা বলা যেতে পারে। সেই চিত্রই এদিন ফুটে উঠল। শুক্রবার রাতেই নন্দীগ্রামে পৌঁছে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। সকালে মোমবাতি মিছিল করে নির্ধারিত কর্মসূচি পালন করে তৃণমূল। অন্যদিকে, শহিদ বেদীতে মালা দেওয়ার কর্মসূচি আলাদাভাবে সারেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তবে পরোক্ষে একে অপরকে নিশানা করতে ছাড়েননি কেউই।

আরও পড়ুন- মিড ডে মিলে এবার বাড়তি পুষ্টি, শুধু ডিম-সোয়াবিন নয়! পড়ুয়াদের পাতে পড়বে চিকেন-ফলও

বিজেপির কর্মসূচি নিয়ে আক্রমণ করে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেছেন, শহিদ বেদীতে মাল্যদানের কোনও অধিকার নেই শুভেন্দু অধিকারীর। যাঁরা আগে গুলি চালিয়েছিলেন, তাঁরা এখন তাঁরই পিছনে ঘুরে বিজেপি করেন। এখানেই না থেমে কুণাল আরও দাবি করেন, নিজের রাজনৈতিক স্বার্থে নন্দীগ্রামকে ব্যবহার করছেন বিজেপি নেতা। তবে শুভেন্দু অধিকারী যে চুপ থেকেছেন তা নয়। নাম না করেই পাল্টা আক্রমণ করেছেন তিনিও। শুভেন্দু কথায়, যাঁদের আন্দোলনের সঙ্গে কোনও যোগ ছিল না, তাঁরাও এখন নন্দীগ্রাম দিবস নিয়ে মাতামাতি করে। এমনকি পরোক্ষে কুণাল ঘোষকে ‘হালি নেতা’ বলেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, শনিবার সকালেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নেতাই সংক্রান্ত পোস্ট করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই পোস্টের লেখা রয়েছে, ‘লালগড়ের নেতাই গ্রামে সিপিআইএমের হার্মাদ বাহিনী নিষ্ঠুরভাবে খুন করেছিল ৯ জন নিরীহ মানুষকে। অমর শহিদ, তোমাদের ভুলছি না, ভুলব না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − 12 =