কলকাতা: অর্জুন সিং দল বদলানোয় ব্যারাকপুরের দায়িত্ব শুভেন্দু অধিকারীর ওপর বর্তেছেন নেতৃত্বরা৷ তাতে বিজেপির লাভ তো দূরের কথা হালটা কেমন হবে তা জানাতে গিয়েই বিস্ফোরক কটাক্ষ সামনে আনলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ৷ এদিন শুভেন্দু প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, ‘‘গরুর গাড়ির হেডলাইট হয় তিনিও তাই!’’ কেন একথা বলছেন, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন কুণাল৷ কটাক্ষের সুরে কুণাল বলেছেন, ‘‘যে নিজের পাড়ার বুথে জিততে পারল না , নিজের ওয়ার্ড জিততে পারে না, পুরসভা জিততে পারে না ও সে গেছে ওখানে লেজ নাড়াতে!’’
এদিন সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্স সিবিআই দফতরে এসেছিলেন কুনাল ঘোষ৷ সেখানেই একথা বলেন কুণাল৷ বস্তুত, কলকাতার বাইরে থাকার জন্য তিনি সিবিআই দপ্তরে একটি আবেদন পত্র জমা দিয়ে গেলেন৷ পূর্ব মেদিনীপুর মহিষাদলে সভা, তার পরে ২৮ তারিখ হলদিয়া দলীয় কর্মসূচি৷ তারপরে ত্রিপুরায় যাবেন। কুণাল বলেন, ‘‘তাই সিবিআইকে ইন্টিমেশন দিয়ে গেলাম।’’
বাঁকুড়ার বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁর তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘‘সৌমিত্র খাঁর গরম পড়লে মাথা ঠিক থাকে না বর্ষাকাল যাক শরৎকাল আসুক তারপর দেখা যাবে তিনি কি বলেন।’’ একই সঙ্গে টেনে এনেছেন জিটিএ প্রসঙ্গ৷ কুণাল বলেনস ‘‘অপদার্থ সুকান্ত মজুমদার তিনি আগে নিজের দল সামলাক, একজন ট্রেনি সভাপতি রাজনীতি শেখেননি৷ ও সভাপতি হওয়ার পর থেকে যা রেজাল্ট হচ্ছে ফেসবুকে ও প্রেস কনফারেন্সে আছে বলে বিজেপি টিকে আছে৷ ফেসবুক উঠে গেলে সুকান্তর বিজেপি উঠে যাবে।’’
মুখ খুলেছেন বঙ্গ বিজেপিতে দিলীপ ঘোষের গুরুত্ব বাড়ার প্রসঙ্গেও৷ বলেছেন, ‘‘এটা তাদের দলীয় ব্যাপার৷ দিলীপবাবু যেভাবে বলছেন শুভেন্দু অধিকারী জননেতা নন, শুধু মেদিনীপুরের নেতা। তিনি দল বদলুদের তুলোধোনা করছেন। আদি বিজেপি বনাম তৎকাল বিজেপি বনাম পরিযায়ী বিজেপি এগুলো তো জানারই কথা এগুলো তো হওয়ারই ছিল।’’