কলকাতা: গুজরাতের মেহসানা ও আনন্দ জেলায় বসবাসকারী অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। স্বাভাবিকভাবেই ফের একবার উত্থাপিত হয়েছে সিএএ বিতর্ক। বিরোধীরা ইতিমধ্যেই দাবি করেছে যে, রাজ্যের ভোটের জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। এবার এই নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গেল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।
আরও পড়ুন- কারচুপি করার চেষ্টা করছে কমিশন, তৃণমূলকে জেতাতে চায়! বিস্ফোরক শুভেন্দু
গুজরাতে নির্বাচনের কারণেই নিজেদের স্বার্থে সেখানে সিএএ চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিন কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তার সম্পূর্ণ বিরোধিতা করছেন তিনি। একই সঙ্গে এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, পশ্চিমবঙ্গে কোনও ভাবেই সিএএ চালু করতে দেওয়া হবে না। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ সরকার শুরু থেকেই এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, ২০১৯ -এর বিরোধিতা করে আসছে। কিন্তু এখন প্রশ্ন, কেন্দ্রীয় সরকার নাগরিকত্ব দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা নিল কী ভাবে?
আসলে ‘নাগরিকত্ব আইন, ১৯৫৫’-এর আওতায় এই পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা অ-মুসলিম অর্থাৎ হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্ট শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদান করবে তারা। সিএএ-র প্রয়োগ না করে কিছুটা ‘নাক ঘুরিয়ে’ এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।