কলকাতা: বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনেই উত্তাল হয় বিধানসভা। ওয়েলে নেমে ঝড় তোলে পদ্ম শিবির৷ যার জেরে প্রথমে ভাষণই দিতে পারেননি রাজ্যপাল৷ বক্তব্যের প্রথম ও শেষ লাইন পড়ে কক্ষ ছাড়েন জগদীপ ধনকড়৷ বিজেপির এই বিক্ষোভকে ‘নাটক ও পরিকল্পিত বিশৃঙ্খলা’ বলে কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, সাংবাদিক বৈঠক করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রীর ইশারায় তৃণমূলের মহিলা বিধায়করা রাজ্যপালকে হেনস্থা করেছে৷ যা নিয়ে তোলপাড় হয়। তবে আজ নারী দিবসে সেই মহিলা বিধায়কদের প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- নাম কেটে দেব! নির্দলদের ‘লাস্ট ওয়ার্নিং’ দিয়ে দিলেন মমতা
এদিন নজরুল মঞ্চে দলের সাংগঠনিক বৈঠকের শুরুতে এই মহিলা বিধায়কদের প্রশংসা করেন মমতা। তিনি বলেন, বোনেরা সামনে থেকে বিধানসভার সম্মান রক্ষা করেছে। আসলে বিজেপি যে অভিযোগ করেছে তা নস্যাৎ করে দিয়ে তাঁর বক্তব্য, মহিলা ব্রিগেডই বিধানসভার সম্মান রক্ষা করেছেন। মেয়েরা কাল লিড নিয়েছে। ভাইরা পিছনে ছিল। গণতন্ত্র বাঁচিয়েছে মহিলারাই। শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, মহিলা বিধায়কদের দিয়ে রাজ্যপালকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে৷ রাজ্যপাল নির্যাতিত হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রসের গুণ্ডা বিধায়কদের দ্বারা৷ মমতার ইশারাতেই নাকি সব হয়েছে। কিন্তু আজ সেই মহিলা বিধায়কদের প্রসঙ্গে মমতা কথা বলে বিজেপির মুখ বন্ধ করে দিলেন।
মমতা এদিন আরও বলেন যে, গতকাল মহিলা বিধায়করা বিধানসভায় যা করেছে তা আগামিদিনে অনেককে অনুপ্রাণিত করেছে। এর থেকে অনেকে আগামিদিনে শিক্ষা নেবে। অনেক কু কথা বলেছে, অনেক অর্ধ সত্যও বলেছে। তা সত্ত্বেও তারা দমে যায়নি। অন্যদিকে, কাল কেন বিজেপি বিক্ষোভ করেছিল তার ব্যাখ্যা দিয়ে শুভেন্দু জানিয়েছিলেন, ”আমরা রাজ্যপালের ভাষণের প্রতিলিপি দেখে প্রতিবাদ জানিয়েছি৷ বিধানসভায় নজিরবিহীন প্রতিবাদ হয়েছে৷ রাজ্যপালকে আমরা সম্মান করি৷ কিন্তু তিনি যে লিখিত বক্তব্য পড়তে চাইছিলেন, সেটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্ক প্রসূত। সেই কারণেই গণতান্ত্রিক উপায়ে সংসদীয় রীতিনীতি মেনে প্রতিবাদ হয়েছে৷”