কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত প্রসন্ন রায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের দলিল। এই ঘটনা নিয়ে রীতিমতো কৌতূহল জন্মেছে বঙ্গ রাজনৈতিক মহলে। কী ভাবে দিলীপের দলিল তার বাড়িতে গেল সেই নিয়ে অনেক কথাই হচ্ছে। যদিও বিজেপি সাংসদ নিজে এই ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু তাতেও বিতর্ক থেমে নেই। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হলে দিলীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হবে না কেন? মঙ্গলবার এই প্রশ্ন তুলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার একই প্রশ্ন শোনা গেল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মুখেও।
আরও পড়ুন- চাকরিপ্রার্থীদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানে বসার অনুমতি হাইকোর্টের, আছে শর্ত
জঙ্গলমহলে তিনদিনের সফর শেষ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফেরার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এই ইস্যুতে বলেন, যা কিছু হচ্ছে বিজেপি ইডি-সিবিআই লাগিয়ে দিচ্ছে। অথচ নির্বাচনে খরচ করার জন্য বিজেপি কোটি কোটি টাকা কোথা থেকে পাচ্ছে তা কেউ তদন্ত করে দেখছে না। এই প্রসঙ্গেই অর্পিতার নাম টেনে তিনি বলেন, অর্পিতা নামে যে মহিলা আছেন, তাঁকে তিনি চেনেন না। ওঁর ঘর থেকে কারোর দলিল মিলেছে। ওঁকে গ্রেফতার করেছে, ঠিকই করেছে, আইন আছে। কিন্তু বিজেপির কোনও নেতার দলিল পাওয়া গেলে তাঁকে তাহলে গ্রেফতার করা হবে না কেন, প্রশ্ন তোলেন তিনি। দু’রকম বিষয় তো হতে পারে না, জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই মিডলম্যান প্রসন্ন রায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। দুজনেই এখন জেলে আছেন। তাই স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে প্রসন্ন রায়ের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের সম্পর্ক কী? সিবিআই সূত্রে খবর, শৌভিক মজুমদার নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে দিলীপ ঘোষের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে চুক্তি হয়েছিল। এক সংবাদমাধ্যমে দিলীপ নিজে জানিয়েছেন, প্রসন্নকে তিনি চেনেন। বাড়িতে বিদ্যুতের কাজের জন্য দলিলের কপি তাঁকে দিয়েছিলেন তিনি।