কলকাতা: কলকাতায় পা রেখেই বিরাট ‘বোমা’ ফাটালেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি জানান, ৩৮ জন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এদের মধ্যে ২১ জন নাকি সরাসরি যোগাযোগ রেখেছেন। যদিও তাঁর এই বক্তব্যকে সেইভাবে এখনও ‘সমর্থন’ করেনি বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু মিঠুনের ‘বোমায়’ যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে তা বলাই বাহুল্য।
আরও পড়ুন- রানি রাসমণির সঙ্গে এবার মমতার তুলনা! বিতর্কের কেন্দ্র বিশ্বজিৎ
কয়েক সপ্তাহে আগেই কলকাতায় এসে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তখন জানিয়েছিলেন, দলীয় আদেশ মেনে তিনি এসেছেন। রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনাও হয়েছে বলে জানান অভিনেতা, কিন্তু কী কী বিষয়ে নিয়ে চর্চা হল তা তিনি জানাতে চাননি। তবে এটুকু জানান, দল তাঁকে কাজ দিয়েছে। তিনি সেই নির্দেশ মেনেই কাজ করবেন। সেই সময় অবশ্য এমন কোনও দাবি তিনি করেননি তৃণমূল বিধায়কদের নিয়ে। তবে বুধবার যা বললেন তাতে শোরগোল যে পড়ে গিয়েছে তা আন্দাজ করাই যায়। এর সঙ্গে মহারাষ্ট্র প্রসঙ্গও নিয়েও মন্তব্য করেছেন মিঠুন। তাঁর প্রশ্ন, সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেছেন মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনা সরকার হয়ে গিয়েছে। বাংলাতে তা হবে না কেন? মিঠুনের বড় দাবি, স্বচ্ছতার সঙ্গে ভোট হলে বাংলায় বিজেপিই জিতবে।
২১-র নির্বাচনে বিজেপির তারকা প্রচারক এও স্পষ্ট বলেছিলেন যে, বিজেপি রাজ্যে ৩ থেকে ৭৭ হয়েছে। তিনি ভীষণ খুশি এই ফলাফলে। তবে প্রচারের সময় বিজেপির এই অঙ্ক ছিল না। তাঁরা ২০০ আসনের লক্ষ্যে নেমেই ভরাডুবি হয়েছে। এখন তো অবস্থা আরও বেশি খারাপ হয়েছে কারণ যারা যারা সেই সময়ে বিজেপিতে গিয়েছিল তাদের প্রায় সকলেই তৃণমূলে ফেরত এসে গিয়েছে। তাই এখন মিঠুনের এই বক্তব্যে কতটা জোর আছে তা হিসেব করেই দেখতে হবে খোদ বিজেপি শিবিরকেই। এমনটাই অনুমান রাজনৈতিক মহলের।