কলকাতা: ‘পরিকল্পতিভাবেই ছাত্রীকে মেরে ফেলা হয়েছে৷’ মঙ্গলবার রাতে নার্সিং ছাত্রের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রাজারহাটের বেসরকারি নার্সিং কলেজে (ডিসান) কতৃর্পক্ষের বিরুদ্ধে পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ জানানো হল রাজারহাট থানায়। পরিবারের অভিযোগ, নার্সিং কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাত্রীকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে।
নিজেদের দাবির স্বপক্ষে নিহত ছাত্রীর পরিবারের দাবি, নিম্নমানের খাওয়া দেওয়া, খারাপ পরিষেবা ও কলেজ কর্তৃপক্ষের দুর্ব্যবহারের বিরুদ্ধে গত ২ জুন কলেজে বিএসসি এবং জিএনএম বিভাগের পড়ুয়ারা তারা মিলিত ভাবে একটি বিক্ষোভ করেছিল কলেজে৷ ওই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন মহাশ্বেতা মণ্ডল৷ মহাশ্বেতা গ্রুপ লিডার ছিল বলেই কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁকে মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ। পরিবারের অভিযোগ, এই বিষয়ে নার্সিং কলেজের উচ্চপদস্থ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে গেলে কেউ কথা বলতে চাইনি। পাশাপাশি ওখানে কর্মরত কর্মচারী ও নিরাপত্তা রক্ষীর থেকে প্রিন্সিপালের নাম জানতে চাইলেও নাম বলা হয়নি। মারতে উদ্যত হয়ে বলেও অভিযোগ। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷ তবে নার্সিং কলেজ কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া সামনে আসেনি৷
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ডিউটি সেরে বিকেলে হোস্টেলে আসে বাগনানের বাসিন্দা মহেশ্বেতা মণ্ডল (২১)। এর পর সন্ধ্যেয় রহস্যজনকভাবে দোতলার সিক রুম থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়৷ মহাশ্বেতা থাকত হোস্টেলের চার তলায়৷ সেখান থেকে সে দোতলায় কীভাবে এল, তা নিয়েও রহস্য দানা বেঁধেছে৷ রাজারহাট থানার পুলিশ কে খবর দিলে দরজা ভেঙে মৃত দেহ উদ্ধার করে। সেই ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে খবর সুইসাইড নোটে উল্লেখ রয়েছে, “বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সহপাঠিরা উত্যক্ত করতো৷” তবে কারা তাকে উত্যক্ত করতো সেই বিষয় নিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রাজারহাট থানার পুলিশ। মৃত ছাত্রী GNM কোর্সের তৃতীয় বর্ষের নার্সিং ছাত্রী।
