স্বামী সব মিথ্যে বলছে! দাবি ‘রঞ্জন’কে টাকা দেওয়ায় অভিযুক্ত পাপিয়ার

এই ইস্যুতে মুখ খুলে সম্পূর্ণ অন্য দাবি করলেন খোদ টাকা দেওয়ায় অভিযুক্ত পাপিয়া মুখোপাধ্যায়। তিনি জানান, তাঁর স্বামী যা বলছেন সব মিথ্যে। তিনি নিয়ম মেনেই চাকরি পেয়েছেন।

কলকাতা: জয়ন্ত বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তি সিবিআইকে জানিয়েছেন যে তাঁর স্ত্রী পাপিয়া মুখোপাধ্যায় বাগদার চন্দন মণ্ডল ওরফে ‘রঞ্জন’কে টাকা দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষিকার চাকরি পেয়েছেন। সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি তাঁর। কিন্তু এই ইস্যুতে মুখ খুলে সম্পূর্ণ অন্য দাবি করলেন খোদ টাকা দেওয়ায় অভিযুক্ত পাপিয়া মুখোপাধ্যায়। তিনি জানান, তাঁর স্বামী যা বলছেন সব মিথ্যে। তিনি নিয়ম মেনেই চাকরি পেয়েছেন।

আরও পড়ুন- চাকরির নামে প্রতারণার করে ফেরার পার্থ-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা! টাকা ফেরাচ্ছেন দলেরই এক উপপ্রধান

জয়ন্ত দাবি করেছেন, তাঁর স্ত্রী ২০১২ সালে টেট পাশ করেননি, ২০১৪ সালে পরীক্ষাতেই বসেননি। তাও ২০১৭ সালে তিনি প্রাথমিকের চাকরি পান সাড়ে সাত লক্ষ টাকার বিনিময়ে। বাগদার চন্দন মণ্ডল ওরফে ‘রঞ্জন’কে টাকা দিয়েই এই চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন পাপিয়া। এক সংবাদমাধ্যমে তাঁর দাবি, স্বামীর সঙ্গে বহুদিন ধরে অশান্তি চলছে, অনেক কেস চলছে। তাই স্বামী তাঁর নামে যা যা বলেছেন সব মিথ্যে। পাপিয়া এও জানান, ২০১২ সালের পরীক্ষায় সত্যি তিনি বসেননি কারণ সন্তান অনেক ছোট ছিল। কিন্তু ২০১৪ সালে ছেলেকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা দিয়েছিলেন।

তাঁর কথায়, পরীক্ষা, কাউন্সিলিং, ইন্টারভিউ সবই হয়েছে, তার পর চাকরি পান। তাঁর কাছে সব নথি আছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। এমনকি সিবিআই চাইলে তা তিনি জমাও দিতে পারেন বলে জানিয়েছেন। পাপিয়ার এও বক্তব্য, তাঁর স্বামী কাকে টাকা দিয়েছেন, কে টাকা নিয়েছেন, কেন নিয়েছেন তা তিনি জানেন না। অন্যদিকে, পাপিয়ার স্বামী জয়ন্ত বিশ্বাস জানিয়েছেন, কল্যাণীতে থাকলেও তাঁদের আদি বাড়ি মামাভাগিনা গ্রামে। সেখান থেকেই চন্দনের খোঁজ পেয়েছিলেন তিনি। যদিও আগের এক শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টে এই চন্দন দাবি করেছিলেন যে তিনি কোনও টাকা নেননি, চাকরিও দেননি। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − 4 =