কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির আর্থিক তছরূপ মামলায় তিনি গ্রেফতার হয়েছেন। রাজ্য মন্ত্রিসভায় তিনি থাকবেন কিনা তা নিয়ে জল্পনা। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, দোষী হলে যাবজ্জীবন সাজা পেলেও তিনি কিছু ভাববেন না। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় কি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেবেন? এই প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠছিল। কিন্তু আজ তিনি নিজে যা বললেন তাতে তেমন কোনও ইঙ্গিত পাওয়া গেল না।
আরও পড়ুন- গেমের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের থিয়েটারের ধারণা, নাট্য কর্মশালা আয়োজনে গোবরাপুর আরেক থিয়েটার
এদিন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আবার ইএসআই হাসপাতালে আনা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সেখান থেকে হুইল চেয়ারে করে যখন তিনি বেরোচ্ছেন তখন সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন যে তিনি মন্ত্রিত্ব ছাড়বেন কিনা। সেই প্রশ্নের উত্তর পার্থ সটান পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ‘কারণ কী?’ এতেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, তিনি মন্ত্রিত্ব ছাড়া নিয়ে কিছুই ভাবছেন না। এমনকি দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ারও কোনও ভাবনা নেই তাঁর। এদিকে মঙ্গলবার তীব্র জল্পনা সৃষ্টি হয়েছিল তাঁর মন্ত্রিত্ব ছাড়া নিয়ে কারণ জানা গিয়েছিল যে তিনি তাঁর গাড়ি ফিরিয়ে দিয়েছেন বিধানসভায়। কিন্তু আদতে যে এমনটা হচ্ছে না তা বোঝা গেল পার্থর কথায়।
যদিও তৃণমূল কংগ্রেস দল এবং স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ইস্যুতে অন্য অবস্থান নিয়েছেন। উভয়পক্ষের একটাই কথা, দোষ হলে শাস্তি পাবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সরাসরি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত তাঁরা নেয়নি। আবার তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আর মন্ত্রী বা তৃণমূলের মহাসচিব বলে উল্লেখ করা হয়নি আজ। সেটাও অনেকে ভালো চোখে দেখছেন না। অনুমান করা হচ্ছে, শীঘ্রই কিছু একটা সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে শীর্ষ নেতৃত্ব।