কলকাতা: লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রা৷ বাতাসের সঙ্গে রীতিমতো বইছে গরম হল্কা। স্বভাবতই, তীব্র দাবদাহে পথচলতি মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত হওয়ার জোগাড়৷ তাই ক্লান্ত পথচারীদের সুবিধার্থে রাস্তার ধারে জল বাতাসা খাওয়ানোর ব্যবস্থা করলেন ট্রাফিক পুলিশ কর্মীরা। কারণ, এহেন পরিস্থিতিতে সান স্ট্রোকের সম্ভবনা বেড়ে যায়, বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা৷ তারই জেরে সোদপুর ট্রাফিক পুলিশের উদ্যোগে পথচারীদের জন্য এমন জলছত্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷
এদিন নববর্ষের প্রথম দিনেই সোদপুর সাব ট্রাফিক গার্ডের ব্যবস্থাপনায় জলছত্রের শুভ উদ্বোধন করলেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের নগরপাল মনোজ ভার্মা৷ পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘প্রচন্ড তাপদাহে মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত হওয়ার জোগাড়! তাই আমরা এখানে জলছত্র চালু করলাম৷ যাতে চলার পথে একটু জল-বাতাসা খেয়ে পথচারীরা জিরিয়ে নিতে পারেন৷’’ গরমের তীব্রতা না কমা পর্যন্ত ট্রাফিক পুলিশ কর্মীরা ক্লান্ত পথচারীদের জল বাতাস দেওয়ার কাজ চালিয়ে যাবেন বলেই জানিয়েছেন তিনি৷ সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ধ্রুবজ্যোতি দে, ট্রাফিক ইনস্পেক্টর দেবব্রত দুবে, সোদপুর সাব ট্রাফিক গার্ডের ওসি হীতুলাল সরকার প্রমূখ।
তবে পুলিশি এই উদ্যোগের প্রশংসার পাশাপাশি পথচারীদের অনেকেরই স্মৃতিতে ভেসে উঠেছে অনুব্রত মণ্ডলের স্মৃতি৷ তাঁরা বলছেন, হোক না জল-বাতাসা৷ কিন্তু আপাত নিরীহ এই জল-বাতাসাকেই রাজনীতির ময়দানে এনে রাতারাতি খ্যাত হয়ে উঠেছিলেন তিনি৷ স্বভাবতই, পুলিশের দেওয়া জল-বাতাসা খেতে গিয়ে অনেকেরই স্মৃতি কোঠায় উঁকি দিচ্ছে বীরভূমের শাহেনশার দাওয়ায়৷