কলকাতা: তাঁর স্ত্রী সরকারি চাকরি পেয়েছিল। কিন্তু এই খবর শুনে স্বামী ভেবেছিল যে সে তাঁকে ছেড়ে চলে যাবে। তাই ফন্দি করে স্ত্রীকে ‘শাস্তি’ দিতে তাঁর হাত কেটে দিয়েছিল সে। নৃশংস এই ঘটনায় শেরকে সঙ্গ দিয়েছিল তাঁর বন্ধুরাও। কিন্তু হার মানেননি রেণু খাতুন। কাটা হাতের চিকিৎসা করিয়ে টানা ৯ দিন পর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছে সে। নতুন চাকরি জীবন কিছুদিনের মধ্যে শুরু হবে তাঁর। এদিকে গ্রেফতার হয়েছে শের এবং তাঁর বন্ধুরা। কিন্তু এই ঘটনা ঘটিয়ে কোনও আক্ষেপই নেই তাঁর।
আরও পড়ুন- বিচারপতির অনুরোধ রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী, সোমার চাকরির জন্য মমতাকে ধন্যবাদ অভিজতের
আপাতত পুলিশ হেফাজতে রয়েছে শের। কিন্তু তারা জানাচ্ছে, শেরের আচরণে খুব একটা পরিবর্তন আসেনি। স্ত্রীর ওপর যে ভয়ঙ্কর অত্যাচার চালিয়েছে সে তার জন্য বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই তাঁর। বরং এখনও সে মনে করে যে, চাকরি পাওয়ার পর রেণু তাঁকে ছেড়ে চলে যেতই। তাই কার্যত সে বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, সে যা করেছে তা সঠিক। ঘটনা ঘটানোর পর শের পালিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে ধরা পড়ে যায় সে। পরে অভিযুক্তকে সাত দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, শের যে কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছে সেই যুক্তিতেই সে অনড়।
কিছু দিন আগেই স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, রেণু খাতুনের চাকরির চিঠি প্রস্তুত। নন নার্সিং পদে কাজ করবেন তিনি। কত টাকা বেতন পাবেন তাও ঠিক করা হয়েছে। এছাড়াও তাঁকে কৃত্রিম হাত দেওয়া হবে বলেও জানান হয়। সেই আশাতেই এখন দিন গুনছে রেণু। তাঁর কথায়, সুস্থ হলেই সে চাকরিতে যোগ দেবে, হাতও লাগাবে। যদিও তাতে মাস তিনেক সময় লাগবে বলেই জানা গিয়েছে।