মারিশদা: জাতীয় সড়ক থেকে ডাকাতি হয়ে যাওয়ায় ২৫ লক্ষ টাকার বেশি কাজু কেরালা থেকে উদ্ধার করল পুলিশ। একই সঙ্গে চক্রের পাণ্ডা সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ মারিশদা জাতীয় সড়ক থেকে পুলিশের পোশাক পরে অভিনব উপায় বন্দুক থেকে লরি থেকে ২৫ লক্ষ টাকার বেশি কাজ ও ছিনতাই করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতিকারীরা। তদন্তে নেমে রবিবার রাতে চুরি চক্রের মূলপাণ্ডা শেখ শাকিল নামে এক ব্যবসায়ীকে কেরালা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার অভিযুক্তকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
আগেই পুলিশ চুরির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতরা হল কাঁথির কৃষ্ণচক গ্রামের আহমেদ আলি শাহ (বাবর), উত্তর দারুয়া এলাকায় বিশ্বজিৎ দাস ও তামিলনাড়ু রাজ্যের প্রিন্স রোল্যান্ড জেসে। প্রিন্স হচ্ছে তামিলনাড়ু লরির চালক। তারা এখন কাঁথির উপ সংশোধনাগারে রয়েছে। মারিশদা থানার পুলিশ তদন্তে নেমে তামিলনাড়ু ও কেরালা থেকে চুরি যাওয়া ২৫ লক্ষ টাকা কাজু বাজেয়াপ্ত করে। মারিশদা থানার পুলিশের তদন্তকারী দল হানা চুরি যাওয়া কাজু ও মুলপাণ্ডাকে গ্রেফতার করে। মারিশদা থানার ওসি রাজু কুণ্ডু বলেন, ” অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চুরি যাওয়া কাজু ও লরি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷”
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি থেকে কয়েকজন ব্যবসায়ী প্রায় ৮০০ টিন কাজু নিয়ে একটি ১২ চাকা লরিতে করে ২৪ ফেব্রুয়ারি কেরালার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। দিঘা নন্দকুমার ১১৬ বি জাতীয় সড়ক ধরে রওনা দিচ্ছিল কাজু বোঝাই লরিটি। জাতীয় সড়কে মারিশদা ভাইটগড়ে কাছে লরিটি পিছনে ধাওয়া করে দুটি স্করপিও। এরপর লরিটিকে আটকায় স্করপিওতে থাকা দুষ্কৃতিকারীরা। স্করপিওতে থাকা ব্যক্তিরা পুলিশের জলপাই পোশাক পরেছিল। লরি চালক ও খালাসীকে বন্দুক দেখিয়ে অন্যত্র নিয়ে চলে যায়। চালক ও খালাশিকে বেঁধে রাখে দুষ্কৃতিরা৷ লরি চালক কাঁথির বসন্তিয়া বাসিন্দা সেক সবুজ মারিশদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও অন্য একটি গাড়িতে কাজু লোড করার সময় গাড়ির নম্বরটি দেখে ফেলে ওই লরি চালক। সেই সূত্রেই পুলিশের জালে এল অপরাধীরারা৷