কলকাতা: কয়লা পাচারকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লাকে তলব করেছিল সিবিআই। শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু ক্যানিংয় পূর্বের বিধায়ক নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিচ্ছেন না বলেই জানা গিয়েছে। আইনজীবী মারফত সিবিআইকে অনুপস্থিতির কারণ জানিয়ে দেবেন বলে সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে ইমেলে সিবিআইকে হাজিরা না থাকার কথাটা জানিয়েছেন শওকত মোল্লা। ব্যবস্তার কারণেই হাজিরা থাকতে পারছেন না বলে ইমেলে জানিয়েছেন। শওকত মোল্লা জানান, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কাজে তিনি গত ১৫ দিন ধরে ব্যস্ত রয়েছেন। সেই কারণে তিনি সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে পারবেন না। তিনি সিবিআইয়ের কাছে ১৫ দিন সময় চেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার সকালে তিনি জীবনতলায় আসেন। সেখানে দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেন বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, সিবিআই হাজিরার সময় সওকত মোল্লাকে পাসপোর্ট, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড এবং ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বিধায়কের নামে কোনও সংস্থা থাকলে, তার নথিও জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
প্রসঙ্গত, একের পর এক রাজ্যের নেতা মন্ত্রীদের সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে হচ্ছে। বুধবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট নাগাদ সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। SSC দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তাঁকে জেরা করেন। তিনবার তিনি সিবিআইয়ের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বর্তমানে কোচবিহারে চলে গিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে উপযুক্ত নম্বর না থাকার পরেও মেয়েকে স্কুলের চাকরি করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
ইতিমধ্যে গরু পাচার চক্রে সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়েছেন বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ফের তাঁকে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস দুর্নীতি মামলায় ডেকে পাঠানো হয়। তবে তিনি আইনজীবী মারফত জানিয়ে দেন, চিকিৎসক তাঁকে ১৫ দিনের বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁর সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়।