কলকাতা: করুণাময়ীতে টেট বিক্ষোভকারীদের মধ্য রাতে তুলে দিয়েছে পুলিশ। এই নিয়ে কার্যত উত্তাল গোটা রাজ্য। তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে একজোটে সরব হয়েছে সব বিরোধী দল। চাকরিপ্রার্থীদের তরফ থেকেও যে ক্ষোভ আরও প্রবল হচ্ছে তা বলাই বাহুল্য। এই অবস্থায় গোটা ইস্যুতে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে তিনি চিঠি লিখেছেন বলেও জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘তাঁর নাটক ধরা পড়ে গেছে’, মমতাকে তুলোধনা করলেন অগ্নিমিত্রা
প্রায় ৮০ ঘণ্টার ওপর চলে গিয়েছিল করুণাময়ীতে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন। প্রশাসনের তরফ থেকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তারা উঠতে চায়নি অবস্থান বিক্ষোভ থেকে। পরে ওই স্থান ১৪৪ ধারা জারি করা হলেও কোনও লাভ হয়নি। ‘নিয়ম’ মেনেই আন্দোলন জারি রাখে চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু বিপত্তি ঘটে পরে পুলিশি আগমনে। মাইকিং করে আন্দোলনকারীদের ওঠার অনুরোধ করে তারাও। কিন্তু কাজ না হওয়ায় মধ্য রাতে ‘জোর করে’ চাকরিপ্রার্থীদের তুলে দেয় পুলিশ। এই নিয়েই সরব হয়েছেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র। চাকরিপ্রার্থীদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানে লাঠিচার্জ করে অত্যাচার করেছে পুলিশ, এই অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। শিক্ষা সচিবকে দিল্লিতে তলব করে তার সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে বলে দাবি তাঁর।
আগেই ঘটনার প্রতিবাদে মিছিল বার করেন বিজেপি নেতাকর্মীরা। রাজ্য বিজেপির দফতরের সামনে থেকে শুরু করে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ধরে এগোতে শুরু করেন তাঁরা৷ মিছিলের একেবারে অগ্রভাগেই রয়েছেন অগ্নিমিত্রা পাল, সজল ঘোষরা। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগানে মুখরিত কলকাতার রাস্তা। ওই মিছিল থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি তোলা হয়।