বোলপুর: গরু পাচার মামলায় বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। সপ্তাহ খানেক পর তাঁর বাড়িতে তাঁর কন্যার সঙ্গে কথা বলতে যায় আধিকারিকরা। কিন্তু সিবিআই সূত্রে খবর, কোনও কথাই বলতে চাননি অনুব্রত কন্যা। এদিন সকালে সিবিআই আধিকারিকরা অনুব্রত মণ্ডলের বোলপুরের বাড়িতে পৌঁছলে তাঁদের তাঁর কন্যা বলেন, মানসিক অবস্থা তাঁর ভালো নেই, তাই কথা বলতে পারবেন না।
আরও পড়ুন- আসছে ‘নতুন তৃণমূল’! তবে কি আড়াআড়ি ভাঙন দেখা দিচ্ছে ঘাসফুল শিবিরে?
জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সিবিআইকে জানিয়েছে, মা মারা গিয়েছেন। বাবা গ্রেফতার হয়েছেন। এই মুহূর্তে তাই তাঁর মানসিক অবস্থা ভালো নেই। সেই কারণেই গোয়েন্দা আধিকারিকদের সঙ্গে তিনি এখন কথা বলতে পারছেন না। এদিকে এদিনই অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। অনুব্রত-কন্যা সুকন্যার সম্পত্তির হিসাব জানতে চায় সিবিআই। পরে তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে বেরিয়ে সিবিআই একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বোলপুর শাখাতেও যায় বলে খবর মিলেছে। সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তেমন কোনও লেনদেন পাওয়া যায়নি। তাই অন্যদিক খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
আসলে সুকন্যার বিপুল সম্পত্তি তল পেতে তৎপর সিবিআই৷ তাঁরা জানতে পেরেছেন, একদিনে ১০টি জমি হস্তান্তরিত হয়েছিল৷ তার মধ্যে ৭টি হস্তান্তর করা হয়েছিল সুকন্যার নামে৷ একাধিক কোম্পানির ডিরেক্টর হিসাবেও তাঁর নাম রয়েছে৷ কোনও রকম সিকিউরিটি ছাড়া তাঁর কোম্পানিকে লোন পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারী অফিসাররা৷ ২০০৬ সালে একটি কোম্পানি তৈরি হয়েছিল৷ সেই সময় সুকন্যা নাবালিকা৷ সেই সংস্থারও প্রথম ডিরেক্টর হিসাবে সুকন্যার নাম রয়েছে৷ এছাড়াও কয়েক কোটি টাকা তাঁর নামে শেয়ার ক্যাপিটাল হিসাবে বিনিয়োগ করা হয়েছে৷ এই সকল কারণেই সিবিআই ব়্যাডারে রয়েছেন সুকন্যা৷
