কলকাতা: এ যেন কেঁচো খুড়তে কেউটে! প্রথমে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে টাকার পাহাড় উদ্ধার৷ তার পর একের পর এক পার্থ ঘনিষ্ঠের সম্পত্তির খোঁজ৷ একাধিক বেনামি সম্পত্তি৷ নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে যে ভাবে টাকা উদ্ধার হচ্ছে তা দেখে চোখ কপালে উঠেছে রাজ্যবাসীর৷ এরই মধ্যে বারুইপুরে একটি বাগানবাড়ির সঙ্গে নাম জড়াল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। ‘সোহিনী’ লেখা ওই বাগানবাড়িটির মালিক নাকি মন্ত্রীমশাই। এমনটাই অভিযোগ৷ বুধবার ‘পার্থ ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে যখন উদ্ধার হচ্ছে কোটি কোটি টাকা তখন পার্থর ওই বাগানবাড়িতেই ঘটে গেল চুরির ঘটনা।
আরও পড়ুন- ‘ওই টাকা আমার নয়!’জেরার মুখে ভেঙে পড়লেন অর্পিতা, জানালেন বিস্ফোরক তথ্য
জানা গিয়েছে, বুধবার রাত একটা নাগাদ ওই বাগানবাড়ির তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকে চারজন দুষ্কৃতী৷ এরপর সেখান থেকে জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে পালায় তারা। স্থানীয়রা বাধা দিতে গেলে তাদের রীতিমতো শাসিয়ে সেখান থেকে চলে যেতে বলা হয়। প্রথমে মনে করা হয়েছিল নিছকই চুরির ঘটনা। কিন্তু এর পিছনে থাকতে পারে অন্য কোনও রহস্য৷ পার্থর ওই বাগানবাড়িতে কি কোনও গুরুত্বপূর্ণ নথি রয়েছে? সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷
তেঁতুলিয়ার এই বাগান বাড়িটি বাইরে লেখা রয়েছে ‘সোহিনী’৷ যা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ের নাম। এদিকে, পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার বাড়ি থেকে থরে থরে সাজানো টাকা উদ্ধার হওয়ার পরই ইডি-কর্তাদের নজরে শিল্পমন্ত্রী ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তি। যে ভাবে অর্পিতার টালিগঞ্জ ও বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়েছে, তা দেখে হতবাক গোটা রাজ্য৷ অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে শুধু ওয়ারড্রোবেই টাকা ভরা ছিল না, টাকা উদ্ধার হয়েছে শৌচাগার থেকেও। এই ঘটনার ঠিক পরেই পার্থর বাগানবাড়িতে চুরি৷ তবে কি টাকার লোভেই চুরি করতে এসেছিল দুষ্কৃীরা? নাকি অন্য কোনও রহস্য রয়েছে এর নেপথ্যে? শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
এদিকে অর্পিতার ফ্ল্যাটে কী ভাবে এত টাকা এল তা নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা। বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে টাকার হদিশ মিলতেই টুইট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ তিনি বলেন, “টান টান উত্তেজনা। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর কে জিতবে, বেলঘরিয়া না টালিগঞ্জ? টাকা উদ্ধারে “এগিয়ে বাংলা”! শেষে তিনি লেখেন, ‘‘পেঁয়াজের খোসা ছাড়ানো চলছে, চোখ রাখুন টিভির পর্দায়…”।
অন্যদিকে, সরব হয়েছে কুণাল ঘোষ৷ বৃহস্পতিবার সকালে টুইট করে তিনি বলেন, ‘অবিলম্বে মন্ত্রিত্ব ও দলের সমস্ত পদ থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরানো হোক। ওঁকে বহিষ্কৃত করা উচিত। আমার এই বিবৃতি যদি ভুল মনে হয়, তা হলে সমস্ত পদ থেকে আমাকে সরিয়ে দেওয়ার অধিকার রয়েছে দলের। আমি তৃণমূলের সৈনিক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে যাব।’’
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>
![](https://aajbikel.sortd.pro/wp-content/uploads/2024/03/ad-728x90-1.png)