কলকাতা: কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন গুলির ডাকা ভারত বনধের দ্বিতীয় দিনেও উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সদর বারাসতে সকাল থেকেই রাস্তায় নেমে অবরোধ-বিক্ষোভ শুরু করেন বাম কর্মী সমর্থকরা। এদিন সকাল আটটা নাগাদ বারাসাতে চাঁপাডালি মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন বনধ সমর্থনকারীরা। মিছিল শেষ হয় বারাসাতের হেলাবটতলা মোড়ে। সেখানেই সকাল সাড়ে আটটা থেকে প্রায় ১৫ মিনিট ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ও ব্যারাকপুর রোডের সংযোগস্থলে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভ চলা কালীন বাম ছাত্র যুব সংগঠনের কর্মীরা দেশবিরোধী কাজের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। অফিস টাইমে সাতসকালে বারাসাতের প্রাণকেন্দ্রে জাতীয় সড়ক অবরোধ হওয়াতে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে ঘটনাস্থলে বারাসত থানার বিশাল পুলিশবাহিনী এসে অবরোধ তুলে দেয়।
অন্যদিকে ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনের বন্ধের প্রভাব সেভাবে পড়ল না নদীয়া জেলা জুড়ে৷ নদীয়ার নবদ্বীপ, কৃষ্ণনগর শান্তিপুর রানাঘাট সহ একাধিক শহরে আর পাঁচটা দিনের মতো এই দিন সকাল থেকেই স্বাভাবিক জীবনযাত্রার চিত্র উঠে আসে।সকাল থেকেই স্বাভাবিক আর পাঁচটা দিনের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে অফিস যাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষজনকে যাতায়াত করতে দেখা গেল নদীয়ার বিভিন্ন রেল, বাস স্ট্যান্ড ও ফেরিঘাটগুলিতে। ট্রেন, বাস ও ভাগীরথী নদীর বুকে জল পরিষেবা ও স্বাভাবিক রয়েছে স্বাভাবিক দিনের মতো। পাশাপাশি বেলা বাড়ার সাথে সাথে শহরের বাজারগুলিতে অবাধে বেচাকেনা করতে দেখা গেল ক্রেতা-বিক্রেতারাদের।
তবে বাম কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা দু’দিনের বনধের দ্বিতীয় দিনেও বাঁকুড়ায় গড়াল না বেসরকারি বাসের চাকা। মঙ্গলবার বাঁকুড়া শহরের গোবিন্দ নগর বাসস্ট্যাণ্ড থেকে কোনও বেসরকারী বাস ছাড়েনি। চরম সমস্যায় সাধারণ মানুষ। বাড়ি থেকে বেরিয়ে অনেকেই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেননি। বাস শ্রমিকদের একাংশ জানিয়েছেন, বাস যাত্রীর অভাবে তারা বাস রাস্তায় নামাতে পারেননি। বাস না চললে ক্ষতি পরিবহন শ্রমিকদের বলে তারা জানিয়েছেন৷