কলকাতা: চাকরি নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন খোদ রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের৷ তিনি বলেন, ‘‘১২ লক্ষ পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক দিয়েছে৷ পাশ করেছে ৮৬ শতাংশ৷ সব শিক্ষিত বেকার তৈরি হয়ে গেল৷ গ্র্যাজুয়েশন, এমএ পাশ করেও চাকরি নেই৷ প্রতিদিন এত ছেলে তৈরি হচ্ছে৷ কিন্তু তাঁরা ঘুরে বেড়াচ্ছে৷ তাঁদের গাউইডেন্স দেওয়ার কেউ নেই৷ যাঁরা বাড়িতে আসেন, তাঁদের অর্ধেকই চাকরি চান৷ ১০ জন এলে অন্তত ৫ জনই চাকরি চান৷ তিনি বলেন, শুধু গ্র্যাজুয়েট বা এমএ করে চাকরি পাওয়া যাচ্ছে না৷ কোন জায়গায় গিয়ে কী পাশ করলে চাকরি পাওয়া যাবে? প্রশ্ন তুললেন কৃষি মন্ত্রী৷ তাঁর এই মন্তব্যে রীতিমতো রাজনৈতিক মহলে শোরগোল৷
আরও পড়ুন- এবার CBI নজরে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের কললিস্ট!
এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, ‘‘বাস্তব মন্তব্য৷ কিন্তু আসল বিষয়টা হল ৮৬ শতাংশ পাশ করুক বা ৬ শতাংশ, রাজ্যে চাকরির সংস্থান নেই৷ মুখ্যমন্ত্রী সিঙ্গুরে দাঁড়িয়ে শিল্প আনার কথা বলছেন, চাকরির কথা বলছেন৷ অথচ আমরা দেখছি রাজ্য থেকে কারখানা চলে যাচ্ছে৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এখানে ইনফোসিস এসেছিল৷ তখন অনেক প্রচার হয়েছিল৷ কিন্তু যাওয়ার আগে ইনফোসিস বলে গিয়েছে, আর যেখানেই শিল্প হোক পশ্চিমবাংলায় নয়৷ পশ্চিমবঙ্গে কর্মসংস্কৃতি নষ্ট হয়ে গিয়েছে৷ এখানে দেউলিয়া অবস্থা৷ এখানে কোনও ব্যবসা বা উদ্যোগ করার জায়গা নেই৷ তাই যত শতাংশই পাশ করুক না কেন, কাজ কোথায়? এই বিষয়টি শোভনবাবু বুঝতে পেরেছেন৷ মন্ত্রীর মুখেই উঠে এসেছে বাস্তবটা৷ ’’
অন্যদিকে, তোপ দেগে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কথাটা উনি খুব ভুল বলেননি৷ দেশে কর্মসংস্থানের হার ক্রমশ কমছে৷ পশ্চিমবাংলায় এই সমস্যা আরও বেশি৷ জনপ্রতিনিধিদের কাছে মানুষ নিজেদের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে যাবেই৷ এতে উত্তেজিত হওয়ার কী আছে?’’ তাঁর কথায়, ‘‘শিক্ষিত বেকার তৈরি করার কারখানায় পরিণত হয়েছে পশ্চিমবাংলা৷ শুধু বিএড বা ডিএলএড পাশ করে বসে রয়েছে ১৫-১৬ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী৷ অথচ স্কুলগুলিতে শূন্যপদ রয়েছে সাড়ে তিন লক্ষ৷ সরকারি অফিসে শূন্যপদ সাড়ে পাঁচ লক্ষ৷ সেই শূন্যপদ পূরণ না করে মেলা, উৎসবে মত্ত হচ্ছে সরকার৷’’
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>