স্কুলের নাম ভুল, অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী

স্কুলের নাম ভুল, অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী

কলকাতা: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ইংরেজিতে পাশ করানোর দাবি নিয়ে আন্দোলনে বসা এক ছাত্রীর ‘আমরেলা’ বানানে তোলপাড় এ রাজ্যের শিক্ষামহল৷ সুদীপ্তা বিশ্বাস নামে ওই ছাত্রী ‘শিমুরালী উপেন্দ্র বিদ্যাভবন ফর গার্লস স্কুলে’র পড়ুয়া বলে একটি ভিডিয়ো প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল ‘আজ বিকেল’৷ পরে জানা যায়, সুদীপ্তা ওই স্কুলের ছাত্রী নন৷ এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ‘আজ বিকেল’ শিমুরালী উপেন্দ্র বিদ্যাভবন ফর গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা, কর্তৃপক্ষ ও সকল পাঠকের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী৷ 

 

ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, ‘আমরেলা’ বানানের ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর কীভাবে নদিয়ার ওই ছাত্রীকে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে নেটদুনিয়ায়৷ তাঁর পরিবার কোন পরিস্থিতিতে রয়েছে৷ সুদীপ্তাকে নিয়ে কতটা চিন্তায় তাঁর পরিবার ও শুভানুধ্যায়ীরা৷ সেখানে বার্তা দেওয়া হয়েছিল, যাতে ওই ছাত্রীকে নিয়ে কোনও ট্রোলড বা হেনস্থা করা না হয়৷ তবে ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশের সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে স্কুলের নামটি ভুল প্রকাশিত হয়৷

সোশ্যাল মিডিয়ায় সুদীপ্তাকে নিয়ে তৈরি ওই ভিডিয়ো প্রতিবেদন চোখে পড়ার পরই ভুল শুধরে দেন শিমুরালী উপেন্দ্র বিদ্যাভবন ফর গার্লসের প্রধান শিক্ষিকা শম্পা বসু৷ তিনি একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘‘সুদীপ্তা বিশ্বাস বীরনগরের কোনও একটি স্কুলের ছাত্রী৷ ও যে স্কুলেরই পড়ুয়া হোক না কেন আমারও ছাত্রী৷ মানবিক দিক থেকে আমি, আমার স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবক সকলে সুদীপ্তা ও তাঁর পরিবারের পাশে আছি৷ যে কারণেই হোক মেয়েটি আমব্রেলা বানান ভুল করেছে৷ এর পর তাঁকে ট্রোল করা হচ্ছে৷ সুদীপ্তা যে স্কুলেরই ছাত্রী হোক আমাদের সন্তানতুল্য৷ তবে এই ঘটনায় আমাদের স্কুলের নাম জড়ানো হয়েছে৷ আমাদের স্কুলের গেটের ছবি দেখানো হয়েছে৷ এতে কিছুটা হলেও আমাদের স্কুলের সুনাম নষ্ট হয়েছে৷’’ শিমুরালী উপেন্দ্র বিদ্যাভবন ফর গার্লস স্কুলের তরফে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্কুল সভাপতি জয়ন্ত দাস, প্রধান শিক্ষিকা সম্পা বাসু-সহ অন‍্যান‍্য শিক্ষিকা, ছাত্রী ও অভিভাবকেরা।

ভুল চিহ্নিত হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ওই ভিডিয়োটি Expire করে দেওয়া হয়৷ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে স্কুলে নাম ভুল হওয়ায় ‘আজ বিকেল’ শিমুরালী উপেন্দ্র বিদ্যাভবন ফর গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা, কর্তৃপক্ষ ও সকল পাঠকের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × three =