জিজ্ঞাসাবাদের নামে হেনস্থা! ইডির নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা অভিষেকের

জিজ্ঞাসাবাদের নামে হেনস্থা! ইডির নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা অভিষেকের

কলকাতা: কয়লাকাণ্ডের তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে নোটিশ দেয় ইডি। দিল্লিতে গিয়ে ইডি দফতর তাঁদের সম্মুখীন হন অভিষেক এবং তদন্তে সাহায্য করেন। যদিও তাঁর স্ত্রী রুজিরা দিল্লি জাননি। পালটা বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডিকে আবেদন জানান তিনি। তবে অভিষেক দিল্লি গেলেও তিনি ফিরে আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আবার তাঁকে তলব করা হয়! কিন্তু সেবার তিনি যাননি। এই ইস্যুতে এবার ইডির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলেন অভিষেক এবং রুজিরা। তাঁদের নোটিসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন তাঁরা। 

আরও পড়ুন- দুয়ারে রেশন: সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্চ করে প্রধান বিচারপতির এজলাসে ডিলাররা

অভিষেক এবং রুজিরার দাবি, একটি মামলার তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের নাম করে তাঁদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হেনস্থা করা হচ্ছে। তাই ইডির তলবের উপর স্থগিতাদেশ চাইছেন তাঁরা। এদিকে বাংলার ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার তদন্তে এইভাবে বারবার দিল্লি ডাকা নিয়েও সরব হয়েছেন দুজনে। তাঁদের তরফে আরও দাবি করা হয়েছে যে, কোনও আদালতের নির্দেশ না থাকা সত্ত্বেও সম্পূর্ণ এক্তিয়ার বহির্ভূতভাবে দিল্লিতে তদন্ত প্রক্রিয়া সরিয়ে আনার চেষ্টা করছে ইডি। শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্যই এটি করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, প্রথম ইডি তলবে দিল্লি যাওয়ার পর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে টানা প্রায় ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। 

আরও পড়ুন- শুধু ভবানীপুরের দিন ঘোষণা! কমিশনের সিদ্ধান্তে ‘সন্দেহ’ দিলীপের

জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডি অফিস থেকে বেরিয়ে অভিষেক বিজেপিকে চরমভাবে আক্রমণ করেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, যাদের হাত পেতে টাকা নিতে দেখা গেছে তাদের কিছু করা হচ্ছে না কারণ তারা নির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক দলে যুক্ত হয়ে গিয়েছেন। এই কারণে হয়ত তাদের সাত খুন মাফ। এই প্রসঙ্গে অভিষেক আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, তিনি প্রথমদিন থেকেই বলে আসছেন যে তার বিরুদ্ধে যদি বিজেপির কাছে কোন প্রমাণ থাকে তাহলে সেটা সবার সামনে আনুক তাহলেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে। কিন্তু এভাবে ধমকে এবং চমকে তৃণমূল কংগ্রেসকে আটকানো যাবে না, এই ভাবে তাদের মাথা নিচু করানো যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 + thirteen =