ED-র দফতরে হাজিরা দেওয়ার আগে কী বললেন অভিষেক?

ED-র দফতরে হাজিরা দেওয়ার আগে কী বললেন অভিষেক?

 

কলকাতা: অবশেষে কেন্দ্রীয় গেয়েন্দা সংস্থার ডাকে সাড়া দিয়ে দিল্লি পাড়ি দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কলকাতার মাটি ছাড়ার আগে জানিয়ে দিলেন নিজের পুরনো অবস্থানে তিনি অড় রয়েছেন৷ সত্যের জন্য তিনি সব কিছু করতে পারেন৷ শিরদাঁড়া বিক্রি করার প্রশ্নই ওঠে না৷

দিল্লি যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘‘আমি নভেম্বর মাসে যা বলেছিলাম, সাত মাস অতিক্রান্ত হয়েছে৷ আমি আজও আমার অবস্থানে অনড়৷ আমি প্রকাশ্য জনসভায় থেকে বলেছিলাম, আমার বিরুদ্ধে যদি কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থা প্রমাণ দিতে পারেন তাহলে আমাকে ফাঁসির মঞ্চ করে বলুন আমি মৃত্যুবরণ করতে রাজি আছি৷ আজও একই কথা বলছি৷ আমার বিরুদ্ধে ইডি সিবিআই লাগানো দরকার নেই।’’ দাবি করেছেন, ‘‘ওরা আমার বিরুদ্ধে এত বড় দুর্নীতির কথা বলছে৷ অথচ ১০ পয়সার যদি কোনও লেনদেন প্রমাণ করতে পারে বা জনসম্মুক্ষে আনতে পারে তাহলে আমি মৃত্যুবরণ করতে রাজি আছি৷ আজও একই কথা বলছি যে কোনও তদন্তের সামনা সামনি হতে আমি প্রস্তুত৷’’ প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘কলকাতার ঘটনা অথচ আমাকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে৷ তবু আমি যাব৷ কারণ আমার কোনও ভয় নেই৷’’

মোদীর নামোল্লেখ না করে অভিযোগ করেছেন, ‘‘বাংলার ভোটে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা না করতে পেরে হেরে গিয়ে এখন প্রতিহিংসা পরায়ণ রাজনীতিতে নেমেছে এবং তদন্তকারী সংস্থাগুলোকে পিছনে ফেলে রাজনৈতিক চরিতার্থ করার চেষ্টা করছে৷ এছাড়া ওনার (মোদীর) আর কোনও কাজ নেই৷’’ বলেছেন, ‘‘আমি বিজেপি নেতাদের বলব, আপনি বসুন না আমার সঙ্গে যেকোনও সর্বভারতীয় নেতা, যেকোনও চ্যানেল ঠিক করুন৷ আমার সঙ্গে বসুন৷ কেন্দ্রীয় সংস্থা পাঁচ বছরে কিভাবে কাজ করেছে, ভারতবর্ষের কি করুণ পরিণতি, সাত বছর আপনাদের শাসনকালের হাল সব স্পষ্ট করে দেব৷’’

হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘‘আপনি জায়গা ঠিক করুন৷ সময় ঠিক করুন৷ আমি যদি প্রমাণ না করতে পারি তাহলে রাজনীতির আঙিনায় পা রাখব না৷ আমার বিরুদ্ধে যদি কোন কিছু থাকে আপনারা জনসমক্ষে আনুন৷’’ নাম না করে আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর দিকে, ‘‘যাদেরকে হাত পেতে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, নির্লজ্জভাবে তখন সিবিআইয়ের চোখে ছানি পড়ে যায়৷ টিভির পর্দায় যাদেরকে কাগজ মুড়ি দিয়ে কত লোককে দেখা গিয়েছে সুদীপ্ত সেন যাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানাচ্ছে৷ একজন এখানে বিজেপি বিরোধী দলনেতা আরেকজন হিমন্ত বিশ্বশর্মা আসামের মুখ্যমন্ত্রী৷ এইতো বিজেপি৷ ওদের দ্বিচারিতা মানুষ, দেখছে তৃণমূলকে এইভাবে দমিয়ে রাখা যাবে না৷ এক ইঞ্চি মাথা নত তৃণমূল কংগ্রেস করবে না৷ আমি আপনাদের কথা দিয়ে যেতে পারি, আমরা আর যাই হোক শিরদাঁড়া বিক্রি করব না৷ তবে কি করব, সেটা মানুষ ঠিক করবে৷ সেটা আমি মানুষের কাছে ছেড়ে দিলাম।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × 3 =