কলকাতা: সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে নেন সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস। এই আসনে বামেদের সঙ্গে জোট গড়ে লড়াই করেছিল কংগ্রেস। সেই জয়ের ৩ মাসের মধ্যেই ওই আসন ‘জয়’ করে নিয়েছে তৃণমূল। এই ইস্যুতে গোটা কংগ্রেস শিবির যে ভীষণভাবে আহত তা হাবেভাবেই বোঝা যাচ্ছে। এদিকে তৃণমূলকে সম্পূর্ণ উৎখাত করার হুঙ্কার দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
তৃণমূলের তিন বারের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহার মৃত্যুর পর সাগরদিঘি কেন্দ্র প্রতিনিধিহীন হয়ে পড়ে৷ সেই কেন্দ্রে উপনির্বাচন সম্পন্ন হয়। তাতেই বামেদের সঙ্গে জোট করে কংগ্রেস জয়ী হয়। ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে বাংলায় শূন্য হয়ে যাওয়ার পর এই সাগরদিঘিতে কংগ্রেসের জয় দলীয় কর্মীদের উজ্জীবিত করেছিল। কিন্তু পঞ্চায়েতের আগেই আবার সেই শূন্যতা। এই বিষয়ে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করে কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, দল ভাঙানোর খেলা শুরু করেছে তৃণমূল, তাতে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত তারাই হবে। অধীরের হুঙ্কার, এক মাঘে শীত যায় না। চ্যালেঞ্জ রইল, তৃণমূল দল ভেঙে চৌচির হয়ে যাবে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”অভিষেককে জেরার পর এবার জেলে গিয়ে কুন্তলকে জেরা করবে সিবিআই? মিলিয়ে দেখা হবে দু’জনের বয়ান?” width=”853″>
কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কারণ হিসেবে বাইরন বিশ্বাস জানিয়েছেন, আরও বেশি মানুষের কাছে উন্নয়ন পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, সাগরদিঘির সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করেছেন। আদতে তিনি তৃণমূলের লোক। যদিও অধীর জানিয়েছেন, বাইরন সম্পর্কে তাঁর আগেও কোনও খারাপ ধারণা ছিল না, এখনও নেই।