‘পার্থকে সরান’ দাবি তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি অধীর চৌধুরীর

‘পার্থকে সরান’ দাবি তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি অধীর চৌধুরীর

 কলকাতা: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি আধিকারিকদের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি আবার রাজ্যের শাসকদলের মহাসচিবও বটে। তৃণমূল কংগ্রেসের এই শীর্ষস্থানীয় নেতার গ্রেফতারী প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই সরব বিরোধীপক্ষ। এর মধ্যেই মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের দাবি তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠালেন কংগ্রেস সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। সাংসদের দাবি, যে সময়কালে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে সেই সময় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এখনও তিনি শিল্প এবং বাণিজ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। কিন্তু বর্তমানে যা অভিযোগ উঠেছে তা অত্যন্ত জোরালো। এটা সরকারের পক্ষে একটি কলঙ্কজনক ঘটনা। তাই অবিলম্বে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তাঁর সমস্ত পদ এবং পরিশেষে মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হোক।

অধীর চৌধুরীর দাবী, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যদি এখনো রাজ্য সরকারের কোন গুরুত্বপূর্ণ পদের সঙ্গে যুক্ত থাকেন তাহলে তাতে রাজ্যের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। আর তাই অবিলম্বে তার মন্ত্রিত্ব বাতিল করুক মুখ্যমন্ত্রী। তার কথায়, ‘রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি সকলের কাছে একটা ওপেন সিক্রেট। আপনার মন্ত্রিসভার সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কুকীর্তি নিয়েই আপনাকে এই চিঠি লিখছি। তিনি বর্তমানে আপনার সরকারে শিল্প এবং পরিষদীয় মন্ত্রীর পদে রয়েছেন। ২০১৪ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন তিনি। সেই সময়ই তিনি শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কোনওকালেই গোপন কিছু নয়। বাংলার সবাই সব জানে। আদালতের হস্তক্ষেপের পরই বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই বিষয়টিতে মুখ পুড়ছে বাংলার সরকারের।’ এরপরই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রীত্ব থেকে সরানোর আবেদন জানিয়েছেন।

অন্যদিকে সোমবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারী প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন কিছুটা দায়সারা ভাবেই মুখ্যমন্ত্রী উত্তর দেন, ‘সবাই সাধু এ কথা বলতে পারব না। সাধুর মধ্যেও ভূত থাকে। তবে জেনে শুনে অন্যায় করিনি। সবটাই প্রমাণসাপেক্ষ বিষয়। এক্ষেত্রে যদি কেউ অন্যায় করেছে প্রমাণ হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে যা খুশি করুন। তাকে যাবজ্জীবন পর্যন্ত দিতে পারেন আই ডোন্ট কেয়ার।’ এদিকে সোমবার রাতেই মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ১৪ দিনের ইডি হেফাজতের রায় শুনিয়েছে আদালত। আগামী ৩ আগস্ট পর্যন্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ইডি হেফাজতেই থাকবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 1 =