কলকাতা: অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করার পেছনে কার স্বার্থ আছে? কার নির্দেশে বেআইনি চাকরি পাওয়া ব্যক্তি যাদের আদালত বরখাস্ত করেছে, তাদের চাকরি দিতে এই পদ তৈরির আবেদন করা হয়েছে? এইসব বিষয়ে জানতে চায় কলকাতা হাইকোর্ট এবং সেই জন্যই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশ, আগামী ৭ দিনের মধ্যেই এই বিষয়ক রিপোর্ট জমা দেবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
আরও পড়ুন- টেটে প্রায় ৭ লক্ষের কাছাকাছি আবেদন, জানাল পর্ষদ
আসলে শূন্যপদে প্রথমে যাদের চাকরি বাতিল হয়, পরিবারের কথা ভেবে তাদের পুর্নবহালের আবেদন করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের সমালোচনার পরেই সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে তারা। এই বিষয়েই এবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চেয়েছেন যে কার নির্দেশে এমন আবেদন করা হয়েছিল। কার নির্দেশে শূন্যপদে অবৈধদের নিয়োগ? কে বেনামি আবেদন করল? এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই ফের একবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই নির্দেশের পরেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের একবার সিবিআই তদন্ত শুরু।
এদিকে আজই এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিব মণীশ জৈনকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কী ভাবে বিপুল সংখ্যক পদ তৈরি করে বেআইনি নিয়োগ করা হল? সেই জবাব দিতে হবে তাঁকে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিব মণীশ জৈনকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ বিচারপতি বলেন, এটা একটা সংগঠিত অপরাধ, যোগ্যরা রাস্তায় ঘুরছে এবং অযোগ্যদের নিয়োগ করা হচ্ছে৷
