কলকাতা: গত ২৬ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন ৩ হাজার ৯২৯টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সিবিআই, শিক্ষা পর্ষদ এবং চাকরিপ্রার্থীদের যে বৈঠক হয়েছিল তাতে জানা গিয়েছিল, প্রায় ৪ হাজার শূন্যপদ আছে। সেই প্রেক্ষিতেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে উপযুক্ত প্রার্থীদের নিয়োগ করতে হবে, এমন নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধেই নতুন করে আদালতের দ্বারস্থ হল পর্ষদ।
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের গর্বের জায়গাটা ফিরিয়ে আনতে হবে: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, প্রাথমিকে ৩ হাজার ৯২৯টি শূন্যপদে অবিলম্বে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে এবং ১১ নভেম্বরের মধ্যে আদালতকে রিপোর্ট দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে। সেই সময় চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস তৈরি হলেও এখন আবার এই ঘটনায় সব যেন বিশ বাঁও জলে চলে গেল। আগে জানা গিয়েছিল, ২০১৬ সালে রাজ্যে ৪২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল। আর ২০২০ সালে ১৬ হাজার ৫০০ শূন্যপদে নিয়োগ করা হয়। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি ছিল, বিভিন্ন জেলায় ৩ হাজার ৯২৯ ফাঁকা পদ আছে। হাইকোর্ট এই ভিত্তিতেই নির্দেশ দিয়েছিল। তবে পর্ষদ সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেছে।
এদিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই যে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছে, তার তদন্ত পদ্ধতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও তার কয়েক ঘন্টা পরেই এই মামলায় সিবিআই যেভাবে তদন্ত করছে তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। আর তদন্তের ব্যাপারে সিবিআই-এর উপরেই যে তাঁর ভরসা রয়েছে, সেটাও স্পষ্ট করেছেন।