কলকাতা: নিয়োগ ইস্যু নিয়ে অভিযোগের কোনও শেষ হচ্ছে না। যতদিন যাচ্ছে আরও নতুন কোনও অভিযোগ উঠছে। এবার আরও একবার অস্বচ্ছতার অভিযোগ। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়। পরিস্থিতি এমন যে, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ৬৫০ শিক্ষক নিয়োগের প্যানেলের পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘সংসদ রত্ন’ পুরস্কার পেলেন বাংলার সুকান্ত ও অধীর, কোন কোন বিষয় দেখে এই পুরস্কার দেওয়া হয়?
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বিস্ময় প্রকাশ করে এসএসসির আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, যেখানে উত্তর সঠিক ছিল, সেখানে উত্তরপত্র হঠাৎ পরিবর্তন হয়ে গেল কী ভাবে? বিচারপতির এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি এসএসসি। আসলে ২০১৬ সালের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির এসএলএসটি-র বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ হয় জুলাই ২০১৮ সালে। ফিলজোফি পোস্ট গ্রাজয়েটের শূন্যপদ ছিল ৬৫০। সেই প্রেক্ষিতে এসএসসি লিখিত পরীক্ষার পর একটি উত্তরপত্র প্রকাশ করে। সেখানে দুটি প্রশ্নের উত্তর সঠিক ছিল। কিন্ত এসএসসি পরবর্তী সময়ে ওই দুটি প্রশ্নের উত্তর বদল করে বলে অভিযোগ। কিন্তু সেই উত্তরপত্রটি তারা প্রকাশ করেনি। পরবর্তীকালে ওএমআর শিট থেকে মামলাকারীরা জানতে পারেন যে তারা সঠিক উত্তর দিয়েছিলেন, তাও তাদের দু’নম্বর দেওয়া হয়নি।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”তৃণমূলকেই কি অস্বস্তিতে ফেলবেন পার্থ? Will Partha’s comment put TMC in uncomfortable position?” width=”853″>
জানা গিয়েছে, এরপর তথ্যের অধিকার আইনে স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। তাতে এসএসসি একটি উত্তরপত্র পাঠায়। যেখানে ওই দুটি উত্তরপত্র বদল করা হয়েছে অথচ ওই দুটি উত্তরের সঙ্গে প্রশ্নের কোনও মিল ছিল না। এসএসসির আরটিআর উত্তরের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় মামলাকারী। বৃহস্পতিবার মামলাকারী আরিফ শেখের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী আদালতে স্কুল সার্ভিস কমিশন এর প্রকাশিত উত্তরপত্র এবং অপ্রকাশিত উত্তরপত্র দেখান। প্রকাশিত উত্তরপত্রের দুটি উত্তরই সঠিক কিন্তু স্কুল সার্ভিস কমিশন তার অপ্রকাশিত উত্তরপত্রের বেআইনিভাবে বদল করেছে বলে দাবি করেন এবং তার স্বপক্ষে আইনজীবী বিভিন্ন লেখকের বই আদালতে তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন-একদিনে ৪০% সংক্রমণ বাড়ল দেশে, বুস্টার নিয়ে নয়া নির্দেশিকা দিল WHO
এদিকে এসএসসির পক্ষে আইনজীবী সুতানু পাত্র জানান, বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতেই উত্তর পত্রটি বদল করা হয়েছে। কিন্তু যে বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট আদালতে পেশ করা হয় সেখানে ওই দুটি প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেনি। যদিও মামলাকারীর আইনজীবী আরও জানান, যেহেতু প্রকাশিত উত্তরপত্রের উত্তর দুটি সঠিক ছিল সেখানে ওই দুটি প্রশ্নের উত্তরের পরিবর্তনের জন্য কোনও প্রার্থী অভিযোগ করতেই পারেন না। এক্ষেত্রে বিচারপতি স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে জানতে চান যে তারা যে দুটি প্রশ্নের উত্তরের পরিবর্তন করেছে কার অভিযোগের ভিত্তিতে এবং কোন বিশেষজ্ঞ কমিটি উত্তর দুটি ভুল বলে রিপোর্ট দিয়েছিল? একই সঙ্গে নির্দেশ, এই গোটা বিষয় নিয়ে আগামী ১৬ এপ্রিলের মধ্যে হলকনামা জমা দিতে হবে তাদের।
ঘোষণা
এই প্রতিবেদন আজ বিকেল ডট কমের নিজস্ব। প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে এই প্রতিবেদন আজ বিকেল ডট কমের পাতায় নাও দেখা যেতে পারে৷ ফলে, সব খবরের জন্য অবশ্যই নজর রাখুন https://aajbikel.com/ -এই লিঙ্কে৷
আমাদের ফেসবুক পেজ – https://www.facebook.com/Aajbikal
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল- https://www.youtube.com/@AajBikelNews -এ নজর রাখতে পারেন