‘আপনি কোন হরিদাস পাল?’ নেত্রীর সমর্থন পেয়েই পুরনো মেজাজে কেষ্ট, ধমক সাংবাদিককে

‘আপনি কোন হরিদাস পাল?’ নেত্রীর সমর্থন পেয়েই পুরনো মেজাজে কেষ্ট, ধমক সাংবাদিককে

কলকাতা: গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়িয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেটা ভালোমতই জানেন কেষ্ট৷ এদিন কমান্ড হাসপাতালে যাওয়ার পথে এ বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,  ‘‘দিদি তো পাশে থাকবেনই।’’ 

আরও পড়ুন- কেউ ছাড় পাবে না! কাকে ইঙ্গিত করে বললেন পার্থ, জল্পনা

এদিন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, দিদি তো আপনার পাশেই রয়েছেন৷ এ প্রসঙ্গ কী বলবেন? জবাবে বীরভূমে তৃণমূল জেলা সভাপতি বলেন, ‘‘ঠিকই তো বলেছেন। উনি বলবেন না! এ নিয়ে আমি আর কী বলব।’’ প্রসঙ্গত, এত দিনে এই প্রথম সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিলেন কেষ্ট৷ সেইসঙ্গে দিদি পাশে থাকার বার্তা দিতেই কিছুটা পুরনো মেজাজে ধরা দিলেন তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা৷ মেয়েকে নিয়ে প্রশ্ন করতেই সংবাদমাধ্যমকে ধমক দেন তিনি৷ এক সাংবাদিককে বলেন, ‘‘আপনি কোন হরিদাস পাল! আমার মেয়ের পাশ করা আছে। সার্টিফিকেট আছে।’’ 

প্রাক স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রে গিয়ে অনুব্রতর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ অনুব্রতের প্রশংসা করলেও, এইদিন পার্থ সম্পর্কে প্রায় নীরব ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতা বলেন, অনুব্রত কিছুই চান না। এমনকি, তিনি রাজ্যসভায় পাঠাতে চাইলেও ‘কেষ্ট’ রাজি হননি। দলনেত্রীর মুখে এই প্রশংসা শুনেই অনেকখানি ‘আত্মবিশ্বাস’ বেড়ে গিয়েছে কেষ্টর৷  অসুস্থতা সত্ত্বেও তাঁর শরীরি ভাষায় স্পষ্টতই সেই আত্মবিশ্বাস ফুটে উঠছিল এদিন৷ 

সোমবার অনুব্রতের আইনজীবীও জানিয়েছিলেন, তাঁর মক্কেল নির্দোষ। দলনেত্রীর বার্তা পেয়ে তাঁর  আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। অনির্বাণ বলেন, ‘‘উনি জানতে পেরেছেন দলনেত্রী ওঁকে সমর্থন করেছেন। আর তাতেই ওঁর আত্মবিশ্বাস বেড়েছে।

এদিকে, গরু পাচার মামলার মধ্যেই বেআইনি ভাবে প্রাথমিকে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে অনুব্রত-কন্যার বিরুদ্ধে৷ অভিযোগ, টেট পরীক্ষা না দিয়েই এই চাকরি পেয়েছেন তিনি৷ এমনকী চাকরি পাওয়ার পর একদিনের জন্যেও স্কুলে পা রাখেননি৷ উল্টে হাজিরার খাতা এসেছে তাঁর বাড়িতে৷ এদিন অনুব্রতকে দেখেই এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘আপনার মেয়ে টেট পাশ না করে চাকরি পেয়েছে?’, জবাবে অনুব্রত বলেন ‘সেটা কোর্ট বুঝবে, আপনি কে হরিদাস পাল?’ একবার নয়, দু’দুবার হরিদাস পাল পাল শব্দটি উচ্চারণ করেন তিনি৷