কলকাতা: তাঁকে দিল্লি নিয়ে চলে যাওয়ার পর জেরাও শুরু করে দিয়েছে ইডি। আর অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে আরও এক বিস্ফোরক তথ্য তারা সামনে এনেছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, মাস গেলে ৫ কোটি টাকা তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেলের অ্যাকাউন্টে দিতেন তৃণমূল নেতা। এটা নাকি ছিল ‘প্রোটেকশন মানি’। কিন্তু কেন এই টাকা যেত সায়গলের অ্যাকাউন্টে, কীসের সুরক্ষা?
আরও পড়ুন- গুরুত্বপূর্ণ পদ গেল ফিরহাদের, কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত, জল্পনা
গরু পাচার মামলায় অনুব্রত এবং সায়গল দু’জনেই গ্রেফতার হয়েছেন। বর্তমানে তিহারে রয়েছেন সায়গল, অনুব্রতও সেখানে যাবেন। এই পরিস্থিতিতে দু’জনকে নিয়েই এই তথ্য প্রকাশ্যে আনল ইডি। তারা দাবি করেছে, নিরাপদে বীরভূম সীমান্ত থেকে যাতে বাংলাদেশে গরু পৌঁছে যায়, তা দেখার দায়িত্ব ছিল সায়গল ও দলের। সেই কারণেই এই ৫ কোটি টাকা অনুব্রত তাদের দিতেন। প্রতি ১৫ দিন বা কখনও কখনও ১ মাস অন্তর এই টাকা জমা পড়ত সায়গলের অ্যাকাউন্টে। তবে সবসময় একই পরিমাণ টাকা হত এমনটা নয়। গরু কেনাবেচার টাকার পরিমাণের উপরই নির্ভর করত ‘প্রোটেকশন মানি’।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”তিহাড় জেলের ‘সিংঘম’ জেলারকে চেনেন! Know about Tihar jailer Deepak Sharma” width=”560″>
গত বছর অগাস্ট মাসে গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন অনুব্রত৷ নভেম্বর মাসে তাঁকে হেফাজতে নেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কিন্তু এখনও উদ্ধার হয়নি গরু পাচারের বিপুল টাকা৷ সেই টাকা কোথায় গেল, তা জানতেই দিল্লিতে নিজেদের হেফাজতে রেখে এ বার কেষ্টকে জেরা করতে চায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তাঁদের দাবি, ব্যবসার টাকা যেত এনামুল হকের কাছেও। অনুব্রতর পরামর্শে আবার সেই টাকা সে অন্য জায়গায় লাগাত। এইভাবেই ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠত।
